সুদীপ দাস , ৫ মে:- রেমডিসিভিরের নামে প্রতারনা। গ্রেপ্তার দুই। উদ্ধার প্রতারনায় ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন সহ সিম কার্ড। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হুগলীর চন্দননগর থানা এলাকার। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার মহারাষ্ট্র থেকে জনৈক বিভা আগরওয়াল চন্দননগর থানায় ফোন করে জানান, তাঁর পরিবারে কোভিড আক্রান্তের জন্য রেমডিসিভির ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন ছিলো। সেইমত তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে পাওয়া নাম্বারে জনৈক ডাঃ অন্নু মেহেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডাঃ অন্নু মেহেতা তাঁকে জানায় ফোন পেতে ৬০০০ টাকা অগ্রিম পাঠালে তাঁর বাড়িতে দুটি রেমডিসিভিরের ভায়েল পৌঁছে যাবে। কিন্তু টাকা পাঠানোর পরই ডাঃ বিভা আগরওয়ালের সাথে প্রতারক সমস্তরকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর বিভা আগরওয়াল ফোন পে মারফত জানতে পারে তাঁর প্রদেয় ৬০০০ টাকা চন্দননগর স্টেট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে।
এরপরই মহারাষ্ট্রের সেই চিকিৎসক গোটা ঘটনার কথা চন্দননগর থানায় ফোন করে জানায়। চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা দপ্তর চন্দননগর থানাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে হাওড়া থেকে মূল অভিযুক্ত আমন সিং ওরফে ডাঃ অন্নু মেহেতাকে গ্রেফতার করে। এরপর চন্দননগরের বাসিন্দা তথা অন্নর শাগরেদ সুমন নাথও পুলিশের জালে ধরা পরে। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে প্রতারনায় ব্যাবহৃত সিম কার্ড সমেত মোবাইল ফোন এবং নগদ ৯০০০০ টাকা উদ্ধার করে। পাশাপাশি তাঁদের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেই অ্যাকাউন্টে মোট ৫৪০০০ টাকা ব্যালেন্স ছিলো। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে করোনা মহামারীকে ঢাল করে ধৃতরা বিগত ১৫ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে। বুধবার ধৃত দু’জনকে চন্দননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে দু’জনকেই ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।