এই মুহূর্তে জেলা

প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিবাদে ঘরছাড়া,উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা নিয়ে অনিশ্চয়তায় দুই বোনের।


হুগলি, ৮ ফেব্রুয়ারি:- হুগলির এক গ্রামে পাড়াগত বিবাদের জেরে অশান্তি মারধোর শ্লীলতাহানী জাত তুলে গালাগালি দেওয়ার অভিযোগ প্রৌঢ়ার। নাবালক তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঘর ছাড়া প্রৌঢ়া। দিন কয়েক আগে বলাগড় থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তপশিলি জাতি উপজাতি আইনে মামলা রুজু করে। চুঁচুড়া আদালতে প্রৌঢ়ার গোপন জবানবন্দির জন্য পাঠায়। স্বামী পরিত্যক্তা প্রৌঢ়ার অভিযোগ তার দুই মেয়ে যারা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছেলে যে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র তিন সন্তানকে নিয়ে খুবই কষ্টে দিন গুজরান করেন। প্রতিবেশীরা নানা ভাবে তাদের হেনস্থা করে। কলে জল নিতে দেয়না। জাত তুলে গালাগালি দেয় মারধোর করে। প্রৌঢ়া তপশিলি জাতির। নানা ভাবে অত্যাচারের শিকার তিনি। এমতাবস্থায় তাকে ঘর ছাড়তে হয়েছে। এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন।

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী শুরু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। দুই মেয়ে কি করে পরীক্ষায় বসবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রৌঢ়া। তার বড় মেয়েও বলেন, পরীক্ষার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নিতে পারছিনা। কি করে পরীক্ষায় বসব জানিনা। আমরা দুই বোন পরীক্ষা দিতে চাই। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন, তিনি এবিষয়ে কিছু জানা নেই। গ্রামবাসী বলেন, পাড়ার সবাই যেখানে বসে বাচ্চারা খেলা করে সেখানে উনি অপকর্ম (প্রস্রাব) করেছিলেন। কেন করেছেন বলায় উনি তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এই ঘটনার পর পাড়ায় সালিসি সভা ডাকা হয় সেখানে পঞ্চায়েত সদস্যরাও ছিলেন। কিন্তু উনি আসেননি। কেউ ওনাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়নি ওনার বাড়ি যখন খুশি আসতে পারেন।কেউ বাধা দেবে না। হুগলি গ্রামীন পুলিশের DSP ক্রাইম অভিজিত সিনহা মহাপাত্র জানান, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই মেয়ে যাতে পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।