এই মুহূর্তে জেলা

দাদপুরে সোনা ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দেড় কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবী,পাঁচ অভিযুক্ত গ্রেফতার।

হুগলি, ২ নভেম্বর:- গ্রামীন পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, গত রবিবার রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ দাদপুরের পুইনান গ্রামের বাসিন্দা বৈশাখী দাস টেলিফোন মারফত জানতে পারেন যে তার স্বামী দীপঙ্কর দাসকে কয়েকজন দুষ্কৃতি অপহরণ করেছে। দুষ্কৃতিরা দেড় কোটি টাকা মুক্তিপন হিসেবে দাবি করে, অন্যথায় ওই ব্যবসায়ীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ব্যবসায়ীর স্ত্রী দাদপুর থানায় এসে ঘটনাটি জানান। অভিযোগ পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে, ঘটনাস্থলে যায় এবং সেখান থেকে ওই সোনা ব্যবসায়ীর পড়ে থাকা একটি মোটরসাইকেল, হেলমেট এবং চটি জোড়া উদ্ধার করে। দীপঙ্কর দাসের পুইনানে সোনার দোকান আছে। ঘটনার দিন সেই দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন।এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ তারকেশ্বরের এক ব্যবসায়ী সেখ সিরাজুল হকের যোগসূত্র খুঁজে পায়।মোবাইল টাওয়ার লোকেশান দেখে ওই রাতেই তারকেশ্বর থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে আইরা পাড়া গ্রাম থেকে মূল অভিযুক্ত সিরাজুল সহ চারজন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই গ্রামের শ্মশানের পাশে মাঠ থেকে দড়ি বাঁধা অবস্থায় অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার দুষ্কৃতিকে সোমবার চুঁচুড়া সদর কোর্টে পেশ করা হয়। তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত। অপহরণকারীরা যে গাড়িটি করে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে তারকেশ্বরে নিয়ে গিয়েছিল সেই সাদা স্করপিও গাড়িটিকে আজ জাঙ্গিপাড়া থানার রাজবলহাট থেকে উদ্ধার করা হয় এবং ওই গাড়ির ড্রাইভার সুরজিৎ নয়ন সূরকে দাদপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই অপহরণের ঘটনায় দাদপুর থানার ওসি এবং পুলিশকর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে সোনা ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে এবং এই ঘটনার সাথে যুক্ত মোট পাঁচজন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে ও স্করপিও গাড়ি উদ্ধার করে।ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তারকেশ্বরের ব্যবসায়ী সিরাজুল এর সঙ্গে দীপঙ্কর দাসের ব্যবসায়ীক গন্ডোগোল ছিল।এই ঘটনায় আরো কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে।তাদের খোঁজ চলছে।