এই মুহূর্তে জেলা

পুলিশ অফিসারের বদলির পরেই বন্ধের মুখে ফ্রি কোচিং সেন্টার,অফিসারকে ফেরাতে স্মারকলিপি পড়ুয়াদের।

হুগলি, ১১ সেপ্টেম্বর:- চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানার অন্তর্গত শেওড়াফুলি ফাঁড়ির উদ্যোগে ও বৈদ্যবাটী পৌরসভার সহযোগিতায় চলছিল চাকরি পরীক্ষার জন্য ফ্রি কোচিং সেন্টার। গত বছর নভেম্বর মসের ৭ তারিখ থেকে শুরু হয় এই কোচিং। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে শুরু হয় চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি কেন্দ্র।এই চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি কেন্দ্রের নেপথ্যে ছিলেন শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রঞ্জন দাস। প্রতি রবিবার করে শেওড়াফুলি সুরেন্দ্রনাথ স্কুলে চলত এই চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি কেন্দ্র। বর্তমানে এখন সেখানে ৭০ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে।রঞ্জন দাস তাদের ফ্রেন্ড ফিলোজফার এবং গাইড হয়ে ওঠেন কিছু দিনেই। নিজে পড়ানোর পাশাপাশি তাদের সব রকম সাহায্য করতেন। সম্প্রতি চন্দননগর পুলিশে অফিসারদের রদ বদল হয়। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ওফিসার রঞ্জনকেও বদলি করা হয় চুঁচুড়ায়।

আর তাতেই কোচিং সেন্টারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। পড়ুয়ারা চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এ সি পি ২ (শ্রীরামপুর) এর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আবেদন করেন যাতে প্রস্তুতি কেন্দ্রটি বন্ধ না হয়ে যায়। তাদের দাবি রঞ্জন বাবু যেন কোচিং সেন্টারটি দেখেন। বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত বলেন, মাধ্যমিক পাশ ছেলে মেয়েরা চাকরির কোচিং নিত। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে শিক্ষককের বেতনটা দেখতাম। গোটা ব্যবস্থাটাই রঞ্জন করত। কয়েকজন চাকরিও পেয়েছে এখান থেকে। এখন অফিসার বদলি হয়ে যাওয়ায় সেন্টারটি বন্ধ হয়ে গেছে। বিধায়ক পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলব যাতে কোচিং চলে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন শেওড়াফুলিতে যে অফিসার যাবেন তিনি দেখবেন।