এই মুহূর্তে কলকাতা

প্রয়াত বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী পার্থ ঘোষ।


কলকাতা, ৭ মে:- বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী পার্থ ঘোষ প্রয়াত। দুরারোগ্য ক্যান্সার শনিবার সকালে চিরতরে স্তব্ধ করে দিল যাদু কণ্ঠ। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।পার্থ ঘোষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ ঘোষ। জানা গিয়েছে, ল্যারিংক্সে ক্যানসারে আক্রান্ত শিল্পী গত ১১ এপ্রি লহাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সিওপিডি সহ নানা সমস্যা ছিল তাঁর। শনিবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সকাল ৭.৩৫ মিনিট ১৯৬৪ সালে আকাশবাণীতে বেতার ঘোষক হিসেবে যোগদানের পর ১৯৬৬ র পয়লা জানুয়ারি তিনি স্থায়ী কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন। নিয়মিত অন্যান্য অনুষ্ঠান পরিবেশনের পাশাপাশি তাঁর পরিচালিত ছোটদের জন্য ‘গল্প দাদুর আসর’ বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।১৯৮৪ তে তিনি বিবিধ ভারতী বিভাগে যোগদান করেন। ২০০০ সালে অবসর নেবার আগে পর্যন্ত তিনি ওই বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৩ -৭৪ সালের পর থেকে তিনি ও তাঁর স্ত্রী প্রয়াত গৌরী ঘোষ আবৃত্তি চর্চার সঙ্গে যুক্ত হন।

জনপ্রিয় এই জুটি দীর্ঘ কয়েক দশক দেশে বিদেশে সুনামের সঙ্গে আবৃত্তি পরিবেশন করে গেছেন। প্রয়াত এই শিল্পীর মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক জগতে শোকের ছায়া। কণ্ঠ মাধুর্যের দৌলতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পার্থ ও গৌরী আবৃত্তির জগতে বিশেষ স্থান দখল করে নেন। এককভাবে পার্থ ঘোষের গলায় ‘শেষ বসন্ত’ সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিল। তবে পার্থ ও গৌরী ঘোষের যুগলবন্দিতে অপার জনপ্রিয়তা লাভ করে ‘কর্ণকুন্তী সংবাদ’৷ কণ্ঠ মাধুর্যের দৌলতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পার্থ ও গৌরী আবৃত্তির জগতে বিশেষ স্থান দখল করে নেন। এককভাবে পার্থ ঘোষের গলায় ‘শেষ বসন্ত’ সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিল। শোকবার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ”বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী পার্থ ঘোষের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় প্রয়াত হন। তাঁর অনবদ্য আবৃত্তি মননশীল শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। তিনি দীর্ঘদিন আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের উপস্থাপক-ঘোষক হিসাবে কাজ করেছেন। পার্থবাবু পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৮ সালে তাঁকে ‘বঙ্গভূষণ’ সম্মাননা প্রদান করে। তাঁর প্রয়াণে সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি পার্থ ঘোষের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।” রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পার্থ ঘোষের মরদেহ জনসাধারণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য বিকেলে রবীন্দ্রসদন চত্বরে শায়িত রাখা হয়। পরে নিমতলা মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।