সুদীপ দাস, ৮ ফেব্রুয়ারি:- ২০২১-এর ৮ই ফেব্রুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন হয় চন্দননগরের আলোর হাবের। দিনটি বেশ ঘটা করেই পালিত হয়েছিল চন্দননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে কে.এম.ডি.এ পার্কে। এই পার্কে একপাশেই রয়েছে সুবিশাল আলো হাবের ভবন। কথা ছিলো চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা এই হাবেই তাঁদের ব্যাবসা স্থাপন করবেন। সেইমত ৫০ টির বেশী ঘরও তৈরী হয়েছিলো ভবনে। কিন্তু উদ্বোধনেই ইতি। আজ অবধি সেই হাবের দরজা খোলেনি। চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের বক্তব্য ২০২০ থেকেই করোনার জন্য তাঁদের ব্যাবসায় ভাটা চলছে। চন্দননগরে মূলধনের অনুপাতে মাঝারি ও ছোট মাপের বহু শিল্পী ইতিমধ্যে আলোর পাটতারি গুটিয়ে অন্য ব্যাবসায় মন দিয়েছেন।
এহেন পরিস্থিতিতে সেই হাবে এককালীন ৫০ হাজার টাকা ও মাসিক ৩ হাজার টাকা দিয়ে আলো হাবের সেই ঘর নিতে চাইছেন না আলোকশিল্পীরা। তাঁদের বক্তব্য একে তো মূল চন্দননগর শহর থেকে আলোর হাব অনেকটাই দূরে। তার উপর হাবে ঘর নিতে টাকার পরিমানটাও অনেক। তাই নিজেদের জায়গা ছেড়ে সেখানে যেতে চাইছেন না শিল্পীরা। শিল্পীরা বলেন আলো হাব চালু হওয়ার পর সেই জায়গায় বাজার উঠতে বেশ কয়েকবছর সময় লাগতে পারে। তাই করোনার প্রকোপের পর আবার কয়েকবছর অপচয় করতে চায়না তাঁরা। সেজন্যই এই মুহুর্তে আলো হাবে যেতে চাইছেন না কোন আলোকশিল্পী। ভোটমুখো চন্দননগরে কিন্তু এই আলো হাবকে ইস্যু করে ময়দানে নেমেছে বিরোধীরা।
বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন তৃণমূল আলোক শিল্পীদের কথা না ভেবেই শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য একটা ইমারত তৈরী করেছে মাত্র। যদিও আলো হাব নিয়ে কোন অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এবিষয়ে চন্দননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা বর্তমান তৃণমূল প্রার্থী তথা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মুন্না আগরওয়াল বলেন আলো হাবে আলোক শিল্পীদের বসা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। সমস্তরকম প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে। ভোট মিটে নতুন বোর্ড হলেই শিল্পীদের হাতে চাবি তুলে দেওয়া হবে। এখন দেখার চন্দননগর পুরনিগমে নতুন বোর্ড আসার পর আলো হাবে আলো জ্জ্বলে কিনা। নাকি অন্ধকারেই থেকে যায় চন্দননগরের বহু প্রতিক্ষিত “আলো হাব”!