হুগলি , ২৬ নভেম্বর:- গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় দল বল নিয়ে আবাসনে হামলা। নৈশ প্রহরীকে প্রাণনাশের হুমকি। চললো গালিগালাজ, দরজায় লাথি, প্রাণনাশের হুমকি। আতঙ্কিত আবাসিকরা স্থানীয় হোটেল মালিক গণেশ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলো চুঁচুড়া থানায়। ঘটনা টি ঘটেছে বুধবার রাত ২ টো নাগাদ চুঁচুড়া থানার ঢিল চড়া দুরত্ত্বে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রহরা প্লাজা আবাসনে। সংলগ্ন এই হোটেল নিয়ে আবাসিকদের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। স্থানীয় মহিলা আবাসিক রূপা মুখার্জি, পাপিয়া রায়, অর্পিতা মুখার্জি, মুনমুন সরকার সহ প্রায় জনা পঁচিশেক মহিলা আবাসিকদের অভিযোগ, গভীর রাত পর্যন্ত ওই হোটেলে তারস্বরে ডিজে বাজানো হয়। এছাড়াও অনেক অসামাজিক কাজ কর্ম হয় ওই হোটেলে। একাধিক বার বারণ করা হলেও তা মানা হয়না, উল্টে হুমকি দেওয়া হয়। এদিনও তারস্বরে ডিজে বাজানো হচ্ছিল। আবাসিকদের তরফে হোটেলে গিয়ে আপত্তি জানানো হয়।
তার পরেই গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। জনা দশেক মদ্যপ যুবককে সঙ্গে নিয়ে আবাসনে হানা দেয় খোদ হোটেল মালিক। আবাসনের গেট বন্ধ ছিল। অভিযোগ নৈশ প্রহরীকে হুমকি দিয়ে সেই গেট খুলিয়ে আবাসনে প্রবেশ করে তারা। তার পর চলে আবাসিকদের উদ্দেশ্য অকথ্য গালিগালাজ। আবাসিক সুদীপ মুখার্জির অভিযোগ, গণেশ বাবু ও তার দলবল প্রত্যেক ফ্ল্যাটের দরজায় লাথি মারতে থাকে এবং চিৎকার করে হুমকি দিতে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আবাসনের শিশু এবং মহিলারা। বাধ্য হয়ে তিনি এবং আবাসিক বেশ কয়েকজন পুরুষ সদস্য বাইরে বেরইউই তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। লাভ হয়না। তারা তখন দাবি করে প্রত্যেক ফ্ল্যাটে তারা ঢুকে দেখবে, কে ইট ছুড়েছে তাকে দরকার। একইসঙ্গে চলে অকথ্য গালিগালাজ আর ক্রমাগত হুমকি। এদিন সকালে আবাসিকরা একত্রিত করে একটি বৈঠক করেন। তার পর বিকেলে সমস্ত আবাসিক মিছিল করে চুঁচুড়া থানায় পৌঁছয় এবং হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হোটেল মালিক গণেশ দাস। তার দাবি ডিজে বাজানো নিয়ে আবাসনের কেউ কখনও নাকি তাঁকে কোনও আপত্তি জানায় নি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ আবাসন থেকে তার হোটেলের দিকে অনবরত নোংরা ফেলা হতো। তা নিয়ে তিনি একাধিকবার আবাসিকদের অভিযোগ করেছেন, ফল হয়নি। এদিন রাতে তিনি হোটেলের বাইরের ব্যালকুনিতে বসে ছিলেন। এমন সময় তাঁকে লক্ষ করে আবাসন থেকে ইট ছোড়া হয়। সেই ইটের আঘাতে তিনি আহতও হয়েছেন। কেনও তাঁকে লক্ষ করে ইট ছোড়া হলো তা জানতে হোটেলের কর্মীরাই আবাসনে গিয়েছিল। পরে তিনি আবাসনে গিয়ে কর্মীদের ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। তার দাবি হুমকি বা দরজায় লাঠি মারার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।