মহেশ্বর চক্রবর্তী, ২৮ জানুয়ারি:- বিশ্ব তথা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে অন্যতম এক পবিত্র স্থান হলো ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান কামারপুকুর। এলাকার মানুষের কথা ভেবে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থানের নাম অনুসারে রেল স্টেশন তৈরি হয় কামারপুকুর রেল স্টেশন। কিন্তু এখনও স্টেশনে রেল এলো না। আক্ষেপ এলাকার মানুষের পাশাপাশি সারা হুগলি জেলার মানুষের। মানুষের স্বপ্ন ছিলো হাওড়া থেকে তারকেশ্বর হয়ে আরামবাগ এবং আরামবাগ থেকে কামারপুকুর রেল স্টেশন হয়ে বিষ্ণুপুর যাবে ট্রেন। কিন্তু গোঘাট পযন্ত রেল চলাচল করলেও ঠাকুরের জন্মস্থান কামারপুকুরে এখনও রেলের চাকা স্পর্শ করলো না। কিন্তু কেন? এক অজ্ঞাত কারনে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে রেল স্টেশন। পবিত্র স্থান দিয়ে রেল বিষ্ণুপুর পযন্ত চলাচল করুক। এই দাবি তুলছেন স্থানীয় মানুষ। কিন্তু সেই দাবী কবে পুরন হবে সেই দিকেই তাকিয়ে এলাকার মানুষ।
জানা গিয়েছে, হুগলি জেলার গোঘাটের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম হলো ভাবাদিঘি। দিঘির নামে গ্রামের নাম। স্বাভাবিক ভাবেই ভাবা দিঘি নিয়ে ব্যাপকভাবে আবেক জড়িত আছে গ্রামের মানুষের। দিঘির ওপড় দিয়ে রেল লাইন তৈরি নিয়ে গ্রামের মানুষের আপত্তিতে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে রেলপথ তৈরির কাজ। এখনও কাটেনি ভাবাদিঘির রেল জট।ক্ষোভে ফুঁসছে ভাবাদিঘির মানুষ। ভাবাদিঘির রেল জট কাটাতে প্রশাসন থেকে শুরু করে শাসক দলের নেতারা বারে বারে জট কাটানোর জন্য ভাবাদিঘির মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। গ্রামের মানুষের একটাই দাবী দিঘি বাঁচিয়ে রেলপথ হোক। দিঘির মাঝখান দিয়ে রেল লাইন করা যাবে না। শুরু হয় ভাবাদিঘিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন। আর এই আন্দোলনের জেড়ে বিষ্ণুপুর পযন্ত রেল চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
আর এই জন্যই কামারপুকুর রেলস্টেশন তৈরি হয়েও পড়ে রয়েছে। রেল আসার অপেক্ষায় যেন প্রহর গুনছে।কবে আসবে রেল। স্থানীয় এক যুবককে স্টেশনে ইতস্তত ভাবে ঘুরতে দেখা যায়। তাকে প্রশ্ন করতেই শূর্ন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে জবাব দিলেন, প্রত্যেকদিনই যেন স্বপ্ন দেখি, এই বুঝি কামারপুকুর স্টেশনে ট্রেন এলো। কিন্তু চোখ খুলে বাস্তবটা বুঝতে পারি। তবে আশা রয়েছে একদিন আমাদের এই কামারপুকুর স্টেশন দিয়ে বিষ্ণুপুরে ট্রেন চলাচল করবে। সবমিলিয়ে ভাবাদিঘির জটে আটকে পড়ে রয়েছে পবিত্র স্থানে গড়ে ওঠা কামারপুকুর রেল স্টেশন। কবে এই স্টেশনে কোলাহল দেখা যাবে, কবে চলবে রেল, সেই দিকেই তাকিয়ে এলাকার মানুষ।