হুগলি , ৮ আগস্ট:- সবুজমালা প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিল জেলা প্রশাসন । নার্সারী থেকে গাছের চারা কেনা থেকে গাছ পরিচর্যার ক্ষেত্রে সরকারি এই প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় জেলার চার মহকুমার ৭ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন । দুর্নীতির দাওয়াই হিসেবে জেলার চার মহকুমায় ৫০০ জন সবুজ মিত্র নিয়োগ করেছে প্রশাসন । প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২ জন করে সবুজ মিত্র কাজ করবেন । গ্রাম পঞ্চায়েতে নিযুক্ত সবুজ মিত্র দের কাজ হবে সবুজ মালা প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য জেলা প্রশাসনের সামনে তুলে ধরা।কী ভাবে কাজ করবে সবুজ মিত্ররা সেই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে যে সমস্ত উপভোক্তারা সবুজ মালা প্রকল্পে নাম নথি ভুক্ত করবেন সেই প্রকৃত উপভোক্তারা সবুজমালার সুবিধা পাচ্ছেন কীনা সেটা দেখবে সবুজ মিত্ররা । এ ছাড়া কোন নার্সারী থেকে কী ধরনের গাছ কেনা হয়েছে তার হিসেব থাকবে । নার্সারী গুলির পরিকাঠামো থেকে সেখানে নানাবিধ গাছ রয়েছে কিনা ।
যদি থাকে সেই গাছের স্বাস্থ কেমন সেগুলির ছবি তুলে জেলা প্রশাসন কে পাঠাবে সবুজ মিত্ররা । একইসঙ্গে সবুজমালা প্রকল্পের উপভোক্তারা সেই গাছ কীভাবে পরিচর্যা করছেন তার ধারাবাহিক রিপোর্ট দিতে হবে । গাছের পরিচর্যার রিপোর্ট কার্ডের জন্য সবুজ কার্ড চালু করেছে প্রশাসন । চলতি অর্থবর্ষে ১২ লক্ষ গাছ বসানো হবে সবুজমালা প্রকল্পের মাধ্যমে । এই প্রকল্প বাস্তবায়িত কররে একশো দিনের প্রকল্পে প্রায় ২০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক কে কাজে বহাল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন । জেলা প্রশাসন জানিয়েছে গত ১৯ ২০ অর্থ বর্ষে জেলায় সবুজমালা প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লক্ষ গছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয় । কাজের সুবিধার জন্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি কে কাজে লাগানো হয় । কিন্তু সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গিয়ে পঞ্চায়েত গুলির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠে । দেখা যায় সবুজমালা প্রকল্পে এমন কিছু নার্সারী থেকে গাছ কেনার কথা বলা হয়েছে সেই নার্সারী গুলির কোন পরিকাঠামোই নেই।নার্সারী গুলিতে পর্যাপ্ত গাছের যীওগান নেই । যদি দশটা গাছ নার্সারী থেকে কেনা হয় সেটা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে ।
কোথাও আবার ভুয়ো নার্সারীর নাম ঢুকিয়ে সরকারি প্রকল্পে ঘোটালা করা হয়েছে । তবে গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে সবুজমালা প্রকল্পে দুর্নীতির পিছনে অনেকাংশে সাসক দলের মদত রয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসন । যে কারণে চলতি অর্থ বর্ষে অনিয়ম রুখতে স্থানীয় স্তরে নার্সারী থেকে গাছ না পেলে জেলা স্তরে কোন কোন নার্সারী থেকে গাছ কিনতে হবে সেগুলি নির্দিষ্ট করেছে জেলা প্রশাসন।তাতে অনেকের গাত্র দাহ হলেও দুর্নীতি অনেকটা রোধ করা যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন । উম্পুন ঝড়ের ত্রাণ বিলি নিয়ে বেশ কিছু পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় সবুজ মালা নিয়ে সতর্ক হতেই সবুজমিত্র ও সবুজ কার্ড চালু করা হয়েছে । এই বিষয়ে জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন ,‘জেলার সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে গত অর্থ বর্ষে সবুজ মালা প্রকল্পে নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে।তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।অভিযোগ প্রমানিত হলে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি হবে । অনিয়ম রুখতেই সবুজমিত্র ও সবুজ কার্ড চালু করা হয়েছে,।