এই মুহূর্তে জেলা

দিল্লি থেকে ফেরার সময় ট্রেনেই অসুস্থ আমতার পরিযায়ী শ্রমিক, হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগেই রাস্তায় মৃত্যু ।

হাওড়া, ৭ জুন:- দিল্লির করোলবাগ এলাকা থেকে গ্রামীণ হাওড়ার আমতা থানার খড়িয়প গ্রামে ফিরবার পথে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত ব্যক্তির নাম শিবনাথ বাড়ুই। বয়স ৪৫। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন দিল্লির করোলবাগ এলাকায় সোনার কাজ করতেন। সম্প্রতি শরীর ঠিকঠাক যাচ্ছিল না। হাওড়া জেলার আমতা থানার খড়িয়প গ্রামের বাড়িতে ফিরতে চাইছিলেন। সেইমতন ট্রেনের টিকিট কাটেন এমনটাই পরিবার সূত্রে জানা গেছে। স্ত্রী এবং ১৫ বছরের সন্তানকে নিয়ে ট্রেনে ফিরবার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে কানপুর স্টেশনে নামানো হয়। তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগেই মৃত্যু হয় শিবনাথ বাড়ুইয়ের। এদিন দেখা গেল বাড়ির সামনে প্রতিবেশীরা ভিড় জমিয়েছেন। ট্রেনে উঠবার আগেও ফোন করেছিলেন। তারপর ফোন আসে মারা গেছেন। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ রিপোর্ট মিললে জানা যাবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

মৃতের ভাগ্না দীপংকর অধিকারী জানান, মামা দিল্লির করোলবাগ এলাকায় বহু বছর ধরে সোনার কাজ করেন। দিল্লি থেকে ট্রেনে টিকিট কাটার পরেও শরীরে উষ্ণতা ছিল না। তারপর ট্রেনে ওঠে। কিন্তু ট্রেনে ফিরবার সময় অসুস্থতা বোধ করায় কানপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নামানো হয়। তার ঘন্টা দেড়েক পর মামার মৃত্যু খবর খড়িয়প গ্রামে আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়। ওখানকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবান্নকে বিষয় টি জানানো হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। শুনেছি রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে দেহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট হলে দাহ করা হবে ওখানেই। ছেলে মাধ্যমিক দেবে। দিল্লিতেই পরিবার নিয়ে থাকতেন। খড়িয়প গ্রামে বাড়িতে চাবি দেওয়া রয়েছে। মৃতের বড় দাদা এবং মেজ দাদা খড়িয়প গ্রামে থাকেন। খবর জানাজানি হতেই প্রতিবেশীরা খোঁজ খবর নিতে এসেছেন। রিপোর্ট আসা অবধি অপেক্ষায় পরিবার।