এই মুহূর্তে কলকাতা

চোখের রেটিনা স্ক্যান ও বায়োমেট্রিক যাচাই করেই রেশন ১লা বৈশাখ থেকে।

কলকাতা, ১ এপ্রিল:- আগামী ১৫ ই এপ্রিল পয়লা বৈশাখের দিন থেকে রাজ্যের সর্বত্র চোখের রেটিনা স্ক্যানের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করে রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু চালু হচ্ছে। ঐদিন থেকে রাজ্যের ২১০০০০ এর বেশি রেশন দোকানে ওই প্রক্রিয়া চালু হবে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রত্যেক জেলার পাঁচটি করে রেশন দোকানে এই প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। একইসঙ্গে অন্যান্য রেশন ডিলারদের নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন বর্তমানে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার বিকল্প হিসেবে এই নতুন পদ্ধতি চালু করা হবে। বয়স জনিত সমস্যা এবং অন্যান্য নানা কারণে যারা আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশনে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে অসুবিধায় পড়ছিলেন তারা নতুন এই প্রক্রিয়ার ফলে উপকৃত হবেন।

পাশাপাশি রেশনে খাদ্যশস্য বন্টনের প্রক্রিয়াতেও আরো স্বচ্ছতা আসবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য রাজ্য সরকারকে আলাদা করে কোনও টাকা খরচ করতে হয়নি। যে সংস্থা বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করার কাজ করছে তারাই ই পস্ মেশিনে এই তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার কাজ করছে। এছাড়াও ইতিমধ্যেই ২০০ জন নতুন ডিলারকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে ২১ হাজার রেশন ডিলারের অধীনে ৯ কোটি ২০ লক্ষের কাছাকাছি রেশন গ্রাহক রয়েছেন। নতুন ডিলারদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিলার পিছু গ্রাহক সংখ্যা ৩০০০ এর মধ্যে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে খাদ্য দফতর। এদিকে চোখের রেটিনা স্ক্যান করে রেশন গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করে রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়া ১ লা মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি জেলার পাঁচটি করে রেশন দোকানে চালু করা হয়েছে। খাদ্য দফতর ডিলারদের এই কাজের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।