নদীয়া,২ মে:- ব্যাংক বাজার রেশন মূলত এই তিন জায়গা বাদে লকডাউন সফল। সকালে প্রাতরাশ সারার আগেই পরিবারের দুজন কনিষ্ঠসদস্য হাজির রেশন দোকানে, অন্যজন ব্যাংকের লাইনে লাইন দোরগোড়ায় এলে পরিবারের প্রধান হাজির, এভাবেই চলছে খাদ্য সংগ্রহ। প্রয়োজন থাকুক আর নাই থাকুক খাদ্য মজুদ রাখতে হবে ঘরে তাই এতদিন যারা রেশন তুলতেন না,তারাও বাড়ির কাজের মাসিকে দিয়ে দেওয়ার অজুহাতে দাঁড়িয়েছেন লাইনে। সারা মাস ধরে নির্দিষ্ট পরিমাণে বরাদ্দ দিতে বাধ্য রেশন ডিলার, কিন্তু প্রথম দিনে সকলে একসাথে হুড়মুড়িয়ে না গেলে, নিজেকে ঠিক বাঙালি বলে মনে হয়না। অনেকে তো আবার কটাক্ষ করে বলছেন, যারা মুদি দোকানে রেশনের চাল বিক্রি করে, বিরিয়ানির চাল কেনেন! তারা নাকি উপযুক্ত দাম পাবেন না , তাই সকলের প্রথমে লাইন দিয়েছেন। এত গেলো আমাদের কথা! এবার আসি তাহাদের কথায়। এই পরিস্থিতিতেও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চাল চেহারায়, সরু চাল কেন্দ্রের মোটা চাল রাজ্যের, সোশ্যাল মিডিয়ায়, whatsapp-এ পাঠানো চালবাজরা এমনই চালাকি করছেন। রেশনের দোকানের বাইরে ভিড়ে পারস্পরিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ, নানা শ্রেণীর রেশন কার্ডে বরাদ্দকৃত চাল-আটার নামতা মুখস্ত করিয়ে, হাত স্যানিটাইজ করে, আবারো যদি কেন্দ্রের রাজ্যের চাল আলাদা করে বুঝিয়ে দিতে হয়, ধৈর্য হারিয়ে উত্তেজিত জনতার গেদারিং এ জন্ম নেবে করোনা।
এত কাণ্ড করে জোগাড় করা চাল , বাড়িতে একপ্রকার চালের আড়ৎ তৈরি হয়েছে তা শুনলে চোখ চড়কগাছ হয়ে যাবে। ধরা যাক 5 জন পরিবারের মাসে চাল লাগে 20 কেজি। রেশন থেকেই মিলছে 25-30 কেজি। লক ডাউন ঘোষণার পরপরই অতিতৎপরতার সাথে সাধ্যমত জমিয়ে রাখা, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া সবটাই জমানো। সামনেই বর্ষাকাল পোকা লাগার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল। অথচ ইলেকট্রিক বিল,লোনের কিস্তি, সহ কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়ে কোনো আলোকপাত করছে না কোন সরকারই। এবার দেখে নিই সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে কি জানালেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য ।