সুদীপ দাস ,৩০ মার্চ:- আমি নিজে ৩০ টা বছর লকডাউনের জ্বালা সহ্য করেছি । নিজের চোখে দেখেছি লকডাউন কাকে বলে ? কিন্তু সেই লকডাউনের কষ্ট সারা দেশকে ভূগতে হবে তা আমি কোনদিন দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। ২৩ তারিখ যখন দেশজুড়ে লকডাউনের কথা শুনলাম তখনই ভেবেছিলাম দিনআনা দিনখাওয়া মানুষগুলির কি হবে ? স্ত্রীর সাথে সেই কথপোকথনের মধ্যেই আমার ৯ বছরের ছেলেটা বলে উঠলো বাবা আমি বড় হয়ে তোমার মতো রোজগার করলে এই পরিস্থিতিতে সব গরীব মানুষদের খাওয়াতাম। ছোট্ট আয়ান আব্বাসের মুখে সেকথা শুনেই সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন চুঁচুড়া ময়নাডাঙ্গার ওই দম্পতি। সেদিন থেকেই শুরু হলো এলাকার দিনআনা দিনখাওয়া মানুষগুলির খোঁজ। খোঁজ মিলতেই অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পরা মানুষগুলির প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কুপনে লিখে দিচ্ছন দম্পতি। পাড়ার মুদি দোকানের মালিক কাশ্মীরি দাদা লেখা সেই কুপন দেখেই প্রয়োজনীয় সামগ্রীও দিয়ে দিচ্ছেন। কি ভাবছেন চুঁচুড়ায় আবার কাশ্মীরি দাদা এলো কি করে? ভাবাটাই স্বাভাবিক। এটাই সত্য। প্রায় দেড় দশক আগে আর পাঁচজন কাশ্মীরি দাদার মত শীতের মরশুমে শাল বিক্রি করতে চুঁচুড়ায় এসেছিলেন ভূসর্গের বাসিন্দা আরশাদ হুসেন।
এখানে এসে পরিচয় হয় চুঁচুড়ার বাসিন্দা বিপাশা ঘোষের সাথে। সেই পরিচয়ই ভালোবাসায় বদলে গিয়ে দু’হাত এক হয় বছর বারো আগে। তারপর থেকে চুঁচুড়াতেই স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে ভাঁড়া থাকেন আরশাদ। বিপাশা দেবী বর্তমানে পান্ডুয়ার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। বিয়ের পর থেকে আরশাদ কাশ্মীরি কেশরীর ব্যাবসা শুরু করেন কোলকাতার বাড়বাজারে। প্রত্যেক বছর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কাশ্মীরে ঘুড়েও আসেন। কিন্তু ৩৭০ ধারা তোলার পর ভূস্বর্গ জুড়ে টানা অচলাবস্থার জন্য যাওয়া আর দেশের বাড়ি যাওয়া হয়নি। বর্তমান লকডাউনের জন্য আবারও সেখানে যাওয়া আটকে গেলো। আরশাদ সাহেব বলেন লকডাউনে গরীবদের ক্ষিদের জ্জ্বালা আমি দেখেছি। তাই লকডাউন শোনার পরই এলাকার দিনআনা দিনখাওয়া মানুষগুলির জন্য কিছু করতে পেরে ভাল লাগছে। পাশাপাশি তিনি বলেন সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমঙ্গ সত্যিই আলাদা। এখানকার মানুষদের মধ্যে এক আলাদা ভালোবাসা রয়েছে। বিপাশা ঘোষ বলেন আমি সবসময় আমার আমার স্বামী লকডাউন, কার্ফু প্রচুর দেখেছে! আমরা তো প্রথম দেখছি। এসময় স্বামীর সাথে এরকম কাজ করতে পেরে একটা আত্মার সন্তুষ্টি দেয়। যে মুদিখানার দোকান থেকে এলাকার দরিদ্র শ্রেনীর মানুষরা কাশ্মীরি দাদার নামে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন সেই দোকান মালিক জয়ন্ত চন্দ বলেন কাশ্মীরি দাদা আমাদের পাড়ায় থাকে এটা আমাদের গর্ব।Related Articles
২০২১ টোকিও অলিম্পিকে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে আত্মবিশ্বাসী সিন্ধু
স্পোর্টস ডেস্ক, ৭ নভেম্বর:- ২০১৬ রিও অলিম্পিকের থেকে ২০২১ সালের টোকিও অলিম্পিক অনেকটাই আলাদা হতে চলেছে। এই ব্যাপারটা খুব ভালো করে বুঝে গেছেন ভারতের মহিলা ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু। তাঁর থেকে গোটা দেশের প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গেছে। কিন্তু সেই প্রত্যাশা তিনি পূরণ করতে পারবেন বলেই মনে করছেন তিনি। ইতিপূর্বে ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিরকে ফাইনালে ক্যারোলিনা […]
প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষকে রান্না করে খাওয়াচ্ছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ।
তরুণ মুখোপাধ্যায়,৭ এপ্রিল:- লকডাউনের ফলে রুটি রুজি বন্ধ বহু মানুষের। এই সমস্ত খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ফুটপাথবাসীদের এবার রান্না করা খাবার বিতরণের কাজ শুরু করেছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ । কলকাতার বালিগঞ্জে সংঘের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার মানুষের জন্য ভাত, ডাল, তরকারি, খিচুড়ি রান্না করে তারপর তা ছোট ছোট গাড়িতে করে সন্ন্যাসী […]
কোচবিহার জেলা কমিটি ঘোষণার পরের দিনেই সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তাফা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী
কোচবিহার , ৩ অক্টোবর:- দলের জেলা কমিটি, ব্লক কমিটি ঘোষণা হতেই বিদ্রোহ শুরু হয়ে গেল কোচবিহার জেলা তৃনমূলে। দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মিহির গোস্বামী। সেই সাথে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে […]