হাওড়া, ২০ মে:- সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডে সিগন্যাল সিস্টেম ঠিক মতো কাজ না করার ফলে ব্যাহত হাওড়া স্টেশনের দক্ষিণ পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল। কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিলের পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরিতে ট্রেন ছাড়ায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। এই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে কার্যত আটকে পড়েন যাত্রীরা। হাওড়া স্টেশনের দক্ষিণ পূর্ব শাখায় যাতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় সেই কারণে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন লাইন বসানোর পাশাপাশি সিগনালিং সিস্টেমকে আরো উন্নত করার কাজ শুরু হয়। গত ১৮ ই মে এই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল।
এর ফলে দূরপাল্লার ট্রেনের পাশাপাশি লোকাল ট্রেন যাতে হাওড়া স্টেশনে ঠিক সময়ে পৌঁছায় সে ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেয়। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরেও নন ইন্টারলকিং সিগনাল সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ না করার ফলে সোমবার থেকে সমস্যা দেখা দেয়। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে চলাচল করে। মঙ্গলবার পরিস্থিতির অবনতি হয়। হাওড়া মুম্বাই গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস, হাওড়া মুম্বাই দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া ব্যাঙ্গালোর দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া ব্যাঙ্গালোর হামসফর এক্সপ্রেস, হাওড়া পুরী বন্দেভারত এক্সপ্রেস, হাওড়া সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরিতে ছাড়ে।
এমনকি সোমবারের হাওড়া পুনে আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস এবং হাওড়া চেন্নাই মেল মঙ্গলবার দুপুরের পর ছাড়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এতে চরম সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।বন্দে ভারতের মত প্রিমিয়াম ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়েনি। অনেক যাত্রী সোমবার সন্ধ্যে থেকে হাওড়া স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকেন। অনেক যাত্রী অসুস্থ রোগীদের নিয়ে দক্ষিণের হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা থাকলেও তারাও আটকে পড়েন। যাত্রীদের অভিযোগ রেল কর্তৃপক্ষ সময় বদল করলেও কখন ট্রেন ছাড়বে বা কি কারণে দেরি সে সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য দেয়নি।
এর ফলে নিউ কমপ্লেক্সের অনুসন্ধান অফিসের সামনে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এমনকি বড় ইলেকট্রনিক বোর্ডেও ট্রেন ছাড়ার খবর দেরিতে দেয় বলে অভিযোগ।আজ হাওড়া দিঘা কান্ডারি এক্সপ্রেস,হাওড়া বার্বিল জন শতাব্দী এক্সরেস ও হাওড়া পুরুলিয়া এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ওম প্রকাশ চরণ জানান সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডে নন ইন্টারলকিং সিগনাল সিস্টেমের কাজের ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়।তবে পরিষেবা কখন স্বভাবিক হবে তা জানাতে পারেননি।