এই মুহূর্তে জেলা

বলাগড়ে ভাঙ্গন পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশনের প্রতিনিধিরা।

হুগলি, ১৬ জানুয়ারি:- কেন্দ্রীয় গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায় এলেন।গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবেন তারা। গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট লাগোয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বৈঠক করেন তারা। ছিলেন, সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা, বিডিও বলাগড় সুপর্না বিশ্বাস, জেলা পরিষদ পঞ্চায়েত সমিতির ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গা ভাঙন নিয়ে লোকসভায় বলেছিলেন। বলাগড় ব্লকের শুধু না হুগলি জেলার একটা বড় সমস্যা হল গঙ্গা ভাঙন। ব্লকের জিরাট, ভবানীপুর, মিলনগড়, চরকৃষ্ণবাটি, খয়রামারি সহ বিস্তীর্ণ এলাকা গঙ্গার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ। লঞ্চে করে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিনিধিরা। জিএফসিসির ডেপুটি ডিরেক্টর রঞ্জিত কুমার, এডি দীপক কুমার ও এডি রোশন কুমার পাটনা থেকে আসেন।

রঞ্জিত কুমার বলেন, আমরা গঙ্গার ভাঙ্গন দেখতে এসেছি। সাংসদ এটা নিয়ে বলেছিলেন। আমাদের দপ্তরের চিঠিও দিয়েছিলেন। তাই আমাদের চেয়ারম্যান আমাদের পাঠিয়েছেন এখানে।একটা রিপোর্ট তৈরি করব এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি যখন প্রচারে এসেছিলাম তখনই আমি দেখেছিলাম বিশাল এলাকা জুড়ে গঙ্গার ভাঙ্গন। এটা একটা বড় সমস্যা। গ্রামের মানুষ খুবই সমস্যায় রয়েছে এই ভাঙ্গনের ফলে। আমি কথা দিয়েছিলাম যদি আমি সাংসদ হই তাহলে কিছু করার চেষ্টা করব। লোকসভায় আওয়াজ তুলব। এত তাড়াতাড়ি সাড়া পেয়েছি তাই ধন্যবাদ জানাই দিল্লীকে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে। আমি চেষ্টা করছি, দেখা যাক কি হয়। রাজ্য সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, বড় কাজ একটা পরিকল্পনা করে করতে হবে।