এই মুহূর্তে কলকাতা

আয়ুষ্মান ভারত আগাগোড়া ভাওতা বলে দাবি, চন্দ্রিমার।

কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি:- কেন্দ্রীয় বাজেটে ঢাকঢোল পিটিয়ে আইসিডিএস কর্মীদের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মের কারণেই ওই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারছেন না করা হলেও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে তারা ওই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারছেন না আইসিডিএস কর্মীরা। কেন্দ্রের এই ঘোষণা আসলে আগাগোড়া ভাঁওতা বাজি বলে দাবি করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন। শনিবার বিধানসভায় অতিরিক্ত ব্যয় মঞ্জুরি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি কেন্দ্র ও রাজ্য বাজেটের তুলনা টানেন। সেখানে আয়ুষ্মান প্রকল্পের এই সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট ফোন থাকলে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুযোগ পাওয়া যায় না। আবার প্রকল্পের কাজ সুচারুভাবে পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্রের সরকারই আইসিডিএস কর্মীদের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্ববিরোধী নীতির ফলে আইসিডিএস কর্মীরা আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে অনেক বিজেপি শাসিত রাজ্য তাদের জন্য আলাদা প্রকল্প তৈরীর পথে হাঁটছে। তিনি বলেন, “ যে কথা ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন।

এখন বাধ্য হয়ে সবাইকে সেই পথে হাঁটতে হচ্ছে।” উল্লেখ্য রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুযোগ এরাজ্যের আইসিডিএস কর্মীরা পান। সেকারণে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প নিতে আগেই অস্বীকার করেছে রাজ্য। এদিকে বিরোধীদের সমালোচনা জবাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, লক্ষীর ভান্ডারের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ যোগান বাড়ানো গেছে। সেকারণে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদনও চার গুণের বেশি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার কারণে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১০ গুণ। পঞ্চদশ অর্থ কমিশন রাজ্যের ঋণ নেওয়ার সীমা গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ভিত্তিতে আরও দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানান আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় না রাখলে কখনোই তারা এই অনুমোদন দিত না। তিনি জানান রাজ্য সরকার নিজেদের নির্ধারিত পরিধির মধ্যে থেকেই ঋণ দিচ্ছে। বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, রাজ্য সরকার শুধু আবগারি শুল্কের ওপর ভিত্তি করে রাজস্ব আদায় বাড়াচ্ছে একথাও ঠিক নয়। উত্তর প্রদেশ কর্ণাটকের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য এমনকি পাঞ্জাবেও এ রাজ্য থেকে আবগারি শুল্কের পরিমাণ অনেক বেশি বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন।