হুগলি, ৫ ফেব্রুয়ারি:- বিধায়ক দলবল নিয়ে অপমান করেছেন কর্তব্যরত নার্সকে! চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের নার্সিং স্টাফরা কালো ব্যাজ পরে হাতে প্লাকার্ড নিয়ে সুপারের ঘরে বিক্ষোভে সামিল। মিছিল করে সিএমওএইচ এর কাছে স্মারকলিপি জমা। গত ২ রা ফেব্রুয়ারী রাতে হাসপাতালেরর ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স বন্দনা দত্তগুপ্ত বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার দলবল নিয়ে তাকে অপমান করেন বলে অভিযোগ। ওই নার্সকে ধমক দেন। এই অভিযোগ তুলে সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। নার্সেস ইউনিটের পক্ষ থেকে দাবী করা হয় বিধায়কে ক্ষমা চাইতে হবে, নার্সের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, হাসপাতাল থেকে আয়া সরাতে হবে। রোগি নার্সের অনুপাত ঠিক৷ করতে হবে।না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। সুপার অমিতাভ মন্ডল জানান তিনি এই দাবী সি এম ও এইচ এর কাছে পাঠিয়ে দেবেন। নার্সেস ইউনিটের রাজ্য সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারি হাসপাতালে আয়া বলে কিছু নেই।
সেদিন ওই নার্সিং স্টাফের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। রোগির বাড়ির লোক যেটা বললেন সেটা সত্যি হয়ে গেলো। আর নার্স যেটা বলল সেটা মিথ্যা। রোগির বাড়ির লোক বলছে আয়া রাখতে বলেছে নার্স কিন্তু নার্স বলেছে রোগির মাথা ঘুরছিল ওয়াশরুমে যেতে চাইছিলেন তাই স্যালাইন খুলে দেওয়া হয়েছে। রোগি পরিষেরা কি ভাবে দিতে হয় বিধায়কের সঙ্গে আসা কাউন্সিলররা বোঝাচ্ছিলেন। এতই যখন জানেন নার্সিং পরে নিন এখন নার্সিং পরার কোনো বয়স নেই।আর যখন তখন দলবল ঢুকে পরবে হাসপাতালে নার্সদের নিরাপত্তা কোথায়।আমরা বলেছি আগে হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিক করুন। চিকিৎসা দেওয়ার সুস্থ পরিবেশ রাখুন।একটা বেডে চারজন মা থাকছে, রোগিদের বেড দেওয়া যাচ্ছে না এগুলো দেখুন। আর একজন নার্স যদি কোনো ভুল করেন তাকে শোকজ করতে হবে, তদন্ত হবে তা না করে দোষী করে দেওয়া হল। এমনটা হতে পারে না। সুপার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তাই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক মৃগাঙ্কমৌলি করের সঙ্গে কথা বলতে যান নার্সিং স্টাফরা।