এই মুহূর্তে

মানকুন্ডু মানসিক হাসপাতালের নাম বদলে হল “আনন্দ আশ্রম”।উদ্বোধন হল নতুন তিনতলা ভবনের।


হুগলি, ৪ নভেম্বর:- হাসপাতালের পুরোনো ভবন জীর্ন হয়ে যাওয়ায় সেই ভবন ভেঙে না ফেলে পাশেই নতুন ভবন তৈরী হয়। আজ তার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য,চন্দননর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, মেয়র চন্দননগর রাম চক্রবর্তী, ভদ্রেশ্বর চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী সহ আধিকারীকরা। প্রলয় চক্রবর্তী জানান, ১৯৮৩ সালের পর হাসপাতালে লাইসেন্স রিনিউ করা হয়।প্রাচীন হাসপাতাল ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পরে।সেখানেই আবাসিক ও চিকিৎসা করাতে আসাদের রাখা হত।এই ভবন ভেঙে প্রমোটিং হবে বলে চর্চা শুরু হয়। ভদ্রেশ্বর পুরসভার উদ্যোগে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে তৈরী নতুন ভবন। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন তার তহবিল থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দেন।সাধারন মানুষও সাহায্যে এগিয়ে আসে। পুরোনো ভবনটিকে সংস্কার করা হবে বলে জানান চেয়ারম্যান। মানকুন্ডু পাগলা গারদ নামে পরিচিত ছিল এই মানসিক হাসপাতাল। ইন্দ্রনীল সেন বলেন, যে মানুষের মাথায় পাগলামি নেই সে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারেনা।

তারা প্রথমেই যখন বলেছে সেটা রাইট ব্রাদার হতে পারে আইনস্টাই হতে পারে কবিগুরু হতে পারে বড় বড় বৈজ্ঞানিক যখনই নতুন কিছু আবিষ্কার করতে গেছে সাধারণ মানুষ পাগলামি বলেছে। ঠিক যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ এর পর থেকে যখনই কোন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন বিরোধীরা বলেছে এই মহিলা একটি পাগল।আমি চাই বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত রবি ঠাকুরের মতো নেতাজি সুভাষ এর মত কোটি কোটি পাগল জন্মাক। পাগলামি না থাকলে কোন কাজ হয় না। আমরা প্রত্যেকে এখন নানান চিন্তায় থাকি। মানকুন্ডুর হাসপাতালকে বলা হতো পাগলা গারদ প্রলয় বলছে মেন্টাল হাসপাতাল। প্রশাসনিক অনেক জটিলতা থাকে একবারে পরিবর্তন করা যায় না। তবে যে নাম আছে তার তলায় একটা সুন্দর নাম দেওয়া যেতে পারে।

আমি চাই আজ থেকে এই হাসপাতালের নাম হোক “আনন্দ আশ্রম”। এই আশ্রমে যারা থাকবে তারা আনন্দে থাকবে। এবং তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য আমরা যখনই সময় সুযোগ পাবো আসবো। মনে রাখবেন এই মানুষগুলো আপনার আমার আত্মীয়। কাছের মানুষ আব্দার করে আর দূরের মানুষরা দাবি করে। এদের জন্য কিছু না পারুন কিছুটা সময় কাটিয়ে যাবেন। আমি এদের জন্য হারমোনিয়াম অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র পাঠাবো।গান গাইবে ছবি আঁকবে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি এরা আমাদের থেকে বেশি সুস্থ। কোন রাজনীতির মধ্যে থাকে না।কখন কাকে বিপদে ফেলতে হয় সেটা ভাবে না যেটা আমরা ভাবি। আসল পাগল আমরা। ওরা সুস্থ ওদের আরও সুস্থ করতে হবে। আনন্দ আশ্রমে বর্তমানে ৬০ জন আবাসিকের চিকিৎসা চলছে।