এই মুহূর্তে জেলা

চালকের আসনে বসে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ছোটালেন অ্যাম্বুলেন্স !

হুগলি, ৫ জুলাই:- উল্টো রথের দড়ি টানতে গিয়ে নাচলেন, আবার সাংসদ তহবিল থেকে দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স নিজেই চালিয়ে উদ্বোধন করলেন শ্রীরামপুর সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য মেজাজে দেখা গেলো তৃনমূল সাংসদকে। শেওড়াফুলির নোনাডাঙা অ্যাথলেটিক ক্লাবকে দেওয়া সেই অ্যাম্বুলেন্স আজ উদ্বোধন করেন কল্যাণ। গাড়ি চালিয়ে বলেন, গাড়ি চালানো আমার প্যাশান। ২৫ বছর টানা গাড়ি চালিয়েছি। সাংসদ হবার পর গাড়ি চালানো ছেড়ে দিয়েছি। সাঁতার সাইকেল একবার শিখলে যেমন ভোলেনা তেমনি গাড়ি চালানো। ভীষন ভালো গাড়ি চালাই আমি। এখন বুড়ো হয়ে গেছি তাই ভয় লাগে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন এসএসসি’র চাকরি হারারা।

সেই প্রসঙ্গে বলেন, শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করে ভালো করেছেন। বিজেপির যারা মামলা করেছে তাদের বলুন মামলা তুলে নিতে। সিপিএম এর সঙ্গে ওদের গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। সিপিএমকেও বলুক মামলা তুলে নিতে তাহলেই হয়ে গেলো। শমীক ভট্টাচার্য তৃনমূল হটানোর কথা বলছেন।সে প্রসঙ্গে বলেন, নতুন সভাপতি হয়েছেন একটু স্বপ্ন টপ্ন দেখছেন। ও কি করতে পারবে না জেনেই ওকে সভাপতি করেছে। ওদের কোনোটাই পাতে দেওয়া নয়। যেকটা আছে কেউ সভাপতি হবার যোগ্য নয়। এরা কোনোদিন রাজনৈতিক আন্দোলন করেনি। মমতাদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হল গনতন্ত্র ফিরে এল তারপর জাগতে শুরু করল।

শমীক ভট্টাচার্য সিপিএম এর জামানায় কোনো আন্দোলন করেছেন দেখেছেন কখনো। এরা সব সুখের পায়রা। মোদির নামে আছে। এদের মানুষের কাছে কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই। একবার একটা উপনির্বাচনে জিতেছিল তারপর সব নির্বাচনে হেরেছে। বিজেপি কাকে সভাপতি করবে সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। আমাদের উপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছে। সর্বোপরি মানুষ আছে। ওদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার আছে, ইডি আছে, সিবিআই আছে রাজ্যপাল আছে কমিশন আছে কিছু প্রতিষ্ঠানের লোক আছে। আমাদের সঙ্গে মানুষ আছে।২৬ এর নির্বাচনে এটা নিয়েই জয়ী হব।