হুগলি, ১৬ অক্টোবর:- পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরীর শংসাপত্র পেলেন বাজি ব্যবসায়ীরা।আজ বিকালে চুঁচুড়ায় জেলা শাসক দপ্তরের মিটিং হলে হুগলি জেলার বাজি ব্যবসায়ীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন জেলা শাসক মুক্তা আর্য, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারন) নকুল চন্দ্র মাহাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীন লাল্টু হালদার। উৎসবের মরসুম শুরু হয়েছে। দুর্গা পুজো মিটলেই হবে কালী পুজো। দীপাবলির উৎসবে আতশ বাজি পোড়ানো হয়। তা ছারাও সারা বছর নানা উৎসব পুজো লেগেই থাকে। সেই উৎসবে আতশ বাজি পোড়ানো হয়। এগড়া, দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরের পর প্রশ্ন ওঠে বেআইনি বাজি তৈরী নিয়ে। সংকটে পরে এই পেশার সঙ্গে যুক্তরা। সরকার চেষ্টা করে বাজি ব্যবসায়ীদের আইনি পথে দূষণের মাপকাঠি মেনে ব্যবসা করতে পারে তারা জন্য পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি তৈরী করতে পারে তার জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। গত জুলাই মাসের ২৪-২৫ তারিখে হুগলির বেগমপুরে বাজি ব্যবসায়ী ও কারিগরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেন কেন্দ্র সরকারের সংস্থা সিএসআইআর-এনইইআরআই র মুখ্য বিজ্ঞানী রায়ালু। যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তাদেরই আজ শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির হুগলি জেলা সম্পাদক সন্দীপ বসু বলেন, বেগমপুরে তৈরী তুবড়ি বাংলার আশি শতাংশ চাহিদা মেটায়। ব্যবসায়ীরা যাতে ফোনের মাপকাঠি মেনে এবং সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মেনে বাজি তৈরি করতে পারেন তার জন্যই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই শংসাপত্র পাওয়ার পর তারা যে রাসায়নিক ব্যবহার করে বাজি তৈরি করবে তারও পরীক্ষা হবে। দূষণের মাপকাঠি যদি ঠিক থাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এর পরই বাজির প্যাকেটের গায়ে কিউ আর কোড লাগাতে পারবে। বাজি ব্যবসায়ীরা জানান, কিভাবে বাজি তৈরি হতো তাদের দূষণের মাত্রা অনেক বেশি থাকতো। এখন আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি কি ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করলে দূষণ কম হবে তা শিখেছি। এবার পরিবেশ বান্ধব তুবড়ি রং মশাল চরকা তৈরি করতে পারব। বাজি কারবারে যুক্ত হুগলি জেলার বহু মানুষ। পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরী কি ভাবে করতে না জানা থাকায় এতদিন তারা লুকিয়ে চুরিয়ে ব্যবসা করতেন। এবার সেই অবস্থার বদল হবে।