এই মুহূর্তে জেলা

গাছ কাটার খবর পেয়ে কাজ রুখলেন বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান।

হুগলি, ২৮ সেপ্টেম্বর:- অনুমতি ছাড়াই বেমালুম স্থানীয় কাউন্সিলরের নাকেরডগায় বটগাছের একাংশের সব ডাল মুড়িয়ে ছেঁটে দেওয়ার কাজ চলছিল। ঘটনাটি বৈদ্যবাটী পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এসসিএম রোডে‌র নিমাইতীর্থ ঘাট সংলগ্ন এলাকায়। পুরপ্রধানের দাবি পুরসভার গাছ কাটা বা ডাল ছাঁটার কোন অনুমতি দেয়নি। যদি কাটা হয়ে থাকে তাহলে, নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে রাজ্য সরকার পুরসভা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সকলে একসাথে গাছ লাগাচ্ছে, পরিচর্যা করে বড় করে তুলছে। শুধু তাই না, যে কোন রাজনৈতিক অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের হাতে গাছ তুলে দেওয়া হচ্ছে বসানোর জন্য। সেখানে এভাবে পরিবেশকে ধ্বংস করা মেনে নেওয়া যায় না। একাংশের অভিযোগ, একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষ নিজেদের স্বার্থে এভাবে প্রাচীন বটগাছটা কেটে পরিবেশকে ধ্বংস করছে।

রাস্তার ধারে পুরসভার জায়গায় মঙ্গলবার থেকে বটগাছটা কাটা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদমাধ্যমের থেকে খবর পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ করতে ছুটে যান বৈদ্যবাটি পুরসভার পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো। সেখানে দিয়ে এক কথায় কড়া ধমক দেন যারা গাছ কাটছিলেন। কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো। অভিযুক্ত তাপস কুমার দত্ত জানান পৌরসভাকে জানিয়েছিলাম, গাছ কাটেনি শুধুমাত্র ডাল-পালাগুলো কাটছি। তার পরিবর্তে আমি আরো দশটা গাছ লাগাবো। তিনি জানান এ বিষয়ে পুরসভার অনুমতি দেওয়ার কেউ নয়, গাছ কাটা হচ্ছিল সংবাদমাধ্যমের থেকে এমন খবর পেয়েই ছুটে এসেছি। কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং পুরসভার তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুরসভাকে কিছু জানানো হয়েছিল কিনা জানিনা কিন্তু আমি কোন অনুমতি দিইনি। কারণ একটা মানুষকে হত্যা করার থেকে বড় অপরাধ হচ্ছে একটা গাছ কাটা। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।