কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর:- কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর দক্ষিন ২৪ পরগনার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র গাদিয়ারা এবং গেয়োলখালিকে কেন্দ্র করে বিলাসবহুল রিসর্ট তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের নূরপুর-হুগলি পয়েন্টে তিন একরের বেশি জমিতে নদীর ধারে এই রিসর্ট তৈরি করা হবে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে। এজন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহী সংস্থাকে নিজেদের জমি দীর্ঘমেয়াদি লিজে দেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহি জানিয়েছেন, “আপাতত আমরা নুরপুর ও মোয়াপুরে দুটো জায়গা চিহ্নিত করেছি। একেবারে নদীর পাড়ের এই জায়গা হোটেল, রিসর্ট বানানোর জন্য উপযোগী৷ এখানে পর্যটকদেরও ভালো লাগবে৷ আমরা যেমন ইতিমধ্যেই কলকাতার আউট্রাম ঘাটে একটা কফিশপ তৈরি করেছি। সেটা বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে৷ এই জায়গাগুলোও সেভাবে ব্যবহার হবে।” বজবজের কাছে মোয়াপুরে ২৩ একর জমি চিহ্নিত হয়েছে।
শীঘ্রই এর জন্য টেন্ডার প্রকাশ পাবে। প্রসঙ্গত বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সব স্থানে নদীর ধারে রাজ্য সরকারের একাধিক বাঙলো আছে। বন্দর চাইছে তাদেরও ব্যবস্থা থাক। এর ফলে পর্যটকদের কাছে সেই সব আবাস ভাড়া দিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে লাভ করতে পারবে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর। বন্দরের অব্যবহৃত জমিকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করতে উদ্যোগ নিয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই কলকাতার আউট্রাম ঘাটে একটি রেস্তোরাঁ চালু করে সেই পদক্ষেপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই ধাঁচেই ডায়মন্ড হারবার থেকে ফরাক্কা অবধি হুগলি বা গঙ্গা নদীর দু’ধারে থাকা অব্যবহৃত জমিকে লিজ দেওয়া হবে বাণিজ্যিক কারণে।প্রয়োজনে হোটেল বা রিসর্ট চালানোর মত পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে বন্দর নিজেই। ধাপে ধাপে সেই কাঠামো ব্যবহার থেকে শুরু করে বাকি কাজ আগামী দশ বছরের জন্য করতে পারবে লিজ নেওয়া সংস্থা।