হুগলি, ১১ সেপ্টেম্বর:- পলতায় দূর্ঘটনায় আহত ছাত্রীকে দেখতে গতকাল আর জি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী। ছাত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এবার চাঁপদানীতে ছাত্রীর বাড়ির দরজায় তাকে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে নোটিশ দিল স্থানীয়রা।”প্লিজ হেল্প এভরিওয়ান সুনীতা বর্মা”। ব্যারাকপুরের মহাদেবানন্দ কলেজের ছাত্রী সুনীতা বর্মা এই মুহুর্তে ভর্তি উত্তর কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের আই সি ইউ তে।তার বাড়ী চাঁপদানীর বি এম রোড আদর্শনগরে। গত সাত তারিখ কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় পতলায় ট্রেনে দূর্ঘটনায় একটি পা বাদ যায়, আরেক পায়ের আঙুল বাদ যায়। তাকে প্রথমে বিএন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আর জি কর হাসপাতালে। সেই থেকেই তার মা ও পরিবারের লোকজন পড়ে রয়েছেন হাসপাতালে। সুনীতার এক দিদি আছে যার বিয়ে হয়ে গিয়েছে অন্যত্র।
লিট্টি ঘুগনি বিক্রি করে অভাবের সংসার কোনো ভাবে চলে। সুনীতা হিন্দি অনার্স বি এ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার সকালে। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ট্রেনে উঠতে গিয়ে লাইনে পরে যায়। দূর্ঘটনায় পা বাদ যায় তার। অসহায় এই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার প্রতিবেশীরা। তার চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ থেকে সবরকম চেষ্টাই চালাচ্ছেন তারা। প্রতিবেশিরা চান আগে চিকিৎসায় ঠিক হয়ে উঠুক সুনীতা। সরকার দায়িত্ব নিক এই অসহায় পরিবারের। গতকাল তাকে দেখতে গিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী বলেছিলেন, ওর পা প্রতিস্থাপন সম্ভব হলে তার জন্য সাহায্য করবেন।মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত সহৃদয় মানুষ নিশ্চয়ই তিনি দেখবেন। চাঁপদানি পুরসভার উপ- পুরো প্রধান বিনয় কুমার বলেন, খুবই দুঃখের এবং বেদনার এই ঘটনা। ছাত্রীর পরিবার ও আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল নয়। আমরা খবর পাওয়ার পরেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। চাঁপদানী পুরসভার প্রত্যেকটা মানুষ তার পাশে আছে। সরকার তার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছে।