এই মুহূর্তে কলকাতা

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ শিক্ষামন্ত্রীর।

কলকাতা, ৮ সেপ্টেম্বর:- মুখ্য়মন্ত্রী ধৈর্য্য দেখাচ্ছেন কিন্তু ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। এবার রাজ্যপালকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা,পরিকাঠামো, আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শিক্ষামন্ত্রী শুক্রবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজ্যপালের তরফে রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে যেতে নিষেধ করা হয়।ফলে বৈঠক নিয়ে বিশেষ জল্পনা তৈরি হয়েছিল। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর ৩০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে ডাকা হলেও ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটিকে রুটিন বৈঠক বলে দাবি করলেও শিক্ষামন্ত্রী অনুপস্থিত রেজিস্ট্রারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারী তিনি বলেন মুখ্য়মন্ত্রী ধৈর্য্য দেখাচ্ছেন কিন্তু ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। সরকার শীর্ষ আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। সেখানে সদর্থক রায় না পেলে অন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় যেভাবে রাজ্যপাল রাজ্য নিযুক্ত উপাচার্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অযোগ্যতার অভিযোগ এনেছেন তারও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

রাজ্যপালের পক্ষে এধরনের ভিডিও বার্তা দেওয়া সমীচীন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ব্রাত্য বাবু বলেন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন রাজ্যপাল। উনিই বিচারক এবং উনিই ফাঁসুড়ে। সম্মানীয় উপাচার্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে পণ্ডিত মানুষদের সম্মানহানি করছেন। রাজ্যপাল শিক্ষকতার সঙ্গে একেবারে যুক্ত নন এমন লোককেও উপাচার্য হিসেবে কাজ করার অধিকার দিচ্ছেন। ইউজিসি-র নির্দেশিকাতেও এটা নেই। রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করার পাশাপাশি ইউজিসি, আদালতকেও অপমান করছেন রাজ্যপাল। আইন গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।“একই অঙ্গে দুই রূপ রাজ্যপালের। সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন রাজ্যপাল। উনি ইচ্ছামতো লোকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বসালেন। যাঁদেরকে উনি বসালেন তাঁরা কি সন্দেহের ঊর্ধ্বে? পড়ানোর সঙ্গে একেবারে যুক্ত নন এমন লোককেও উনি উপাচার্য হিসেবে কাজ করার অধিকার দিচ্ছেন। ইউজিসি-র নির্দেশিকাতেও এটা নেই। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের কোনও সুযোগ নেই। রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করার পাশাপাশি ইউজিসি, আদালতকেও অপমান করছেন রাজ্যপাল। আইন গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। পুতুল খেলা খেলছেন রাজ্যপাল।”