হুগলি, ১১মে:- গতকাল অভিযুক্ত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন চুঁচুড়ার পকসো কোর্টের বিচারক অরুন্ধতী ভট্টাচার্য চক্রবর্তী। আজ সাজা শোনান। সাজা শুনে কান্নায় ভেঙে পরেন রূপা রায়, স্বামী প্রসেনজিৎ এর দাবী মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। চুঁচুড়া জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বলাগড়ের বাকুলিয়া ধোবা পাড়া অঞ্চলের এই ঘটনা। গ্রামের স্কুলের সামনে বসে মুড়ি খাচ্ছিল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। রূপা রায়ের বাড়ি স্কুলেরই পাশে। তিনি ছাত্রীকে মাংস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে ওই শিশুর উপর যৌন নির্যাতন চালায় তার স্বামী প্রসেনজিৎ রায়। আর স্বামীকে এই অপকর্মে সাহায্য করেন স্ত্রী রূপা। শঙ্কর বাবু জানিয়েছেন, এই ঘটনা বিরল,
কারণ অন্যান্য ক্ষেত্রে সাধারণত স্ত্রীদের এই রকম দুষ্কর্মের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে স্ত্রী নিজেই শিশুকে যৌন নির্যাতনে স্বামীকে সাহায্য করেছেন। কোনও রকমে ওই বাড়ি থেকে ছুটে পালিয়ে স্কুলে গিয়ে ঘটনার কথা শিক্ষিকাদের জানায় নির্যাতিত ছাত্রী। স্কুলের তরফে খবর দেওয়া হয় ছাত্রীর বাড়িতে এবং বলাগড় থানায়। ওই দিনই বলাগড় থানার পুলিশ প্রসেনজিৎ এবং তার স্ত্রী রূপা কে গ্রেপ্তার করে। শঙ্করবাবু আরও জানিয়েছেন, জেলে বন্দী অবস্থায় একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন রূপা। মামলায় মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। স্বামী স্ত্রী দুজনকে ৩৭৬/এ/বি ধারায় কুড়ি বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পাশাপাশি পকসো আইনেও একই সাজা শোনানো হয়। দুজনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে দুই মাস করে বিনাশ্রমে কারাদন্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। নির্যাতিতাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা কমপেনশেসান দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে খুশি নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার।