কলকাতা, ১৪ মার্চ:- বীক্ষণ এবং অণুবীক্ষণ নতুন দুটি মোবাইল অ্যাপের সূচনা করল রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম। আজ সল্টলেকে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম ভবনে মোবাইল অ্যাপ দুটির সূচনা করলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এস সুরেশ কুমার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের সিএমডি ডক্টর পি বি সালিম। বীক্ষণ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দেউচা-পাচামি-দিওয়ানগঞ্জ-হরিণশিঙা কয়লা খনি অঞ্চলে পুনর্বাসন এবং পুনঃস্থাপন বিষয়ে সমীক্ষা করা হবে। আর অণুবীক্ষণ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবে plan information, যেখানে বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের পাঁচটি উৎপাদন কেন্দ্র গুলির উৎপাদন প্রণালী সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রতিমুহূর্তে পাওয়া যাবে। দেউচা পাঁচামি কয়লা খনির পুনর্বাসনে ইচ্ছুক জমিদাতাদের বিষয় নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল ১৬ নভেম্বর ২০২১ সালে।
প্রায় ৩৪০০ একর জমি জুড়ে কয়লা খনি রয়েছে।ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন সংক্রান্ত বিষয় জমির দাম (৩৯ লক্ষ টাকা প্রতি একর) উল্লেখিত আছে এই প্যাকেজে। ইচ্ছুক জমির মালিকদের কাছ থেকেই জমি নেওয়া হচ্ছে এবং পরিবারের একজন সরকারি চাকরি পাচ্ছেন বলে বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর। এই সমস্ত বিষয়গুলোকে সুষ্ঠুভাবে করার জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে WBPDCL এর আই টি বিভাগ। যাবতীয় রেকর্ড অর্থাৎ জমি দিতে ইচ্ছুক তাদের আবেদন পত্র,জমির তথ্য,পরিবারের তথ্য,যাকে চাকরি দেওয়ার জন্য পরিবার মনোনীত করেছে তার তথ্য ইত্যাদি সব কিছুই এই সফটওয়্যারে থাকছে। জমির দাম হিসেবে কে কত টাকা পেলেন,পরিবারের কে চাকরি পেলো তথ্য থাকছে। এই মোবাইল অ্যাপটির নাম দেওয়া হয়েছে বীক্ষণ।
রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান এ রাজ্যে কোনো পাওয়ার কাট হয়নি। ব্যান্ডেল, কোলাঘাট, সাগরদিঘিতে কোথায় কি হচ্ছে সব জানতে পারবো। মনিটরিং করা যাবে বীক্ষণ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।জমিদাতাদের পরিবারের একজনকে রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি এবং কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া হবে। বীক্ষন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসারদের হাতে থাকবে, কত বাড়ি, কত গাছ সমস্ত হিসাব। পরবর্তীতে কোনো অসুবিধা না হয়। ঠিক মত ক্ষতিপূরণ পায় সমস্ত কিছু জানা যাবে। আর একটি মোবাইল অ্যাপ অণুবীক্ষণ রাজ্যের ১৭ প্লান্ট ৫টি লোকেশনে কোথায় কি কাজ হচ্ছে তা জানার জন্য অণুবীক্ষণ মোবাইল অ্যাপ চালু হলো। যখন প্লান্ট এ কয়লা ঢোকে তারপর বিদ্যুৎ তৈরি হওয়া পর্যন্ত সমস্ত কিছু জানা যাবে অণুবীক্ষণ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। বীক্ষণ এই মোবাইল অ্যাপটির আর একটি বৈশিষ্ট্য এখানে সীমানা নির্দিষ্ট করা আছে। কয়লা খনি এলাকার বাইরে জমিতে গেলে তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না।আর যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে তা জিও ট্যাগিং হয়ে যাবে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার লক্ষ্যে সমীক্ষা শুরু করেছে বিদ্যুৎ দফতর। সমীক্ষা প্রায় হয়ে গেছে। এবার সশরীরে যাবে যাতে কোনো তথ্য কেউ ভুল না দেয় বা পরবর্তীতে কোনো এনিয়ে সমস্যা না হয়।