এই মুহূর্তে জেলা

রোজ চাই মাটন-ইলিশ, না হলেই র‍্যাগিং; সদলবলে স্ত্রীর আক্রমনে ছাদ থেকে ঝাঁপ স্বামীর।

সুদীপ দাস, ১৩ অক্টোবর:- সাদামাটা পুরোহিত মশাইয়ের মাসিক ইনকাম মেরেকেটে ৩থেকে ৪হাজার টাকা। এই ইনকামেই গত বছর নভেম্বরে দেখেশুনে বিয়েটা করেছিলেন তিনি। প্রথম কয়েকদিন ঠিকঠাক চললেও তারপর থেকেই স্বমহিমায় স্ত্রী। ডাল-ভাত মুখে রোচে না তাঁর। শুরু ইলিশের চাহিদা। তারপর মাটন। যা ক্রমশ নিত্যদিনের ব্যপার হয়ে ওঠে। স্ত্রীর চাহিদা মেটাতে না পেরে সংসারে শুরু অশান্তি। কিন্তু স্বামী যে সাদামাটা। তাই প্রথম প্রথম স্ত্রীর উপর সেভাবে কথা বলতে পারতেন না তিনি। অগত্যা যা হওয়ার তাই। স্বামীকে রিতীমত র‍্যাগিং করা শুরু করে স্ত্রী। অর্ধাঙ্গীনির কথামত সংসারের সমস্ত কাজ নিজে হাতে সামলানো শুরু হয়। কিন্তু ছেলের বিষয়টি তাঁর মা জানতে পারার পর বৌমার সাথে একচোট হতেই বাপের বাড়ি পৌঁছন স্ত্রী।

বিগত ১০মাসের মধ্যে চার চারবার বাপের বাড়ি আবার শ্বশুরবাড়ী হয়েছে। অবশেষে স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরোহিতের পরিবার চুঁচুড়া থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেবিষয়ে একটি মামলাও চলছে আদালতে। কিন্তু অভিযোগ গতকাল বিকেলে স্ত্রী সহ গোটা শ্বশুরবাড়ীর পরিবার সদলবলে হাজির হন পুরোহিতের বাড়িতে। পুরোহিত পাড়াতেই একটি নির্মিয়মান বাড়ির সামনে পুজো নিয়ে কথা বলছিলেন। সেখানেই শুরু মারধর। মারধর পৌঁছয় আবাসনের দোতলায়। অবশেষে প্রানে বাঁচতে দোতলা থেকে ঝাঁপ দেন স্বামী। বর্তমানে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন স্বামী। আজ এ বিষয়ে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্তের দাদা পিন্টু অধিকারী। ঘটনাটি চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার। আক্রান্ত স্বামীর নাম কমলকান্তি অধিকারী। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম শুভশ্রী ওরফে পুজা। আদতে রানাঘাটের বাসিন্দা হলেও পুজার বাপের বাড়ির লোকজন বর্তমানে চুঁচুড়াতেই থাকছে বলে খবর। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।