এই মুহূর্তে কলকাতা

সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্মানিক ডিলিট উপাধি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা, ৬ ফেব্রুয়ারি:- সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিলিট উপাধি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সংশাপত্র তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর হাতডি লিট তুলে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চশিক্ষায় বিশেষ অবদানের কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে ডি লিট দিয়ে সম্মানিত করা হল। ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পাওয়া এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ সমাবর্তন উৎসবে দীক্ষান্ত ভাষণও দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই সম্মানপ্রাপ্তিতে তিনি কৃতজ্ঞ। নিজের ডি লিট সম্মান জনগণকেই উৎসর্গ করেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি আমার এই পুরস্কার সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করলাম। আজ আমি যা, সব তাদের জন্যই। পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কলকাতা, জেভিয়ার্স বা যাদবপুর কোনও অংশেই কম নয়। তাদের থেকে অনেক ভাল।” তাঁর কথায় উঠে আসে দেশে শান্তি, গণতন্ত্র এবং সম্মান রক্ষার কথাও। তাঁর আমলে কত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে, তার খতিয়ান দিয়ে মমতা জানান, সেন্ট জ়েভিয়ার্সের সার্বিক উন্নতির জন্য সরকার সর্বদা সহায়তা করতে প্রস্তুত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদার টেরিজার নামে সাম্মানিক চেয়ার তৈরির কথাও তিনি জানান। তাঁকে ডি লিট সম্মানে ভূষিত করার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীদের ধন্যবাদ জানান। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, এই ডি লিট সম্মান তিনি অর্জন করেছেন। রাজ্যপাল জানান, যে সকল রাজনীতিবিদ রাজনীতির সঙ্গে সাহিত্যকীর্তিতেও অনন্য স্বাক্ষর রেখেছেন, তাঁর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম। এপ্রসঙ্গে তিনি অটলবিহারী বাজপেয়ী, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, উইনস্টন চার্চিল, এপিজে আব্দুল কালাম-সহ একাধিক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদের নাম উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কলকাতায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য জন ফেলিক্স রাজ প্রমুখ। এর আগে ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডি লিট দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়। কেন মুখ্যমন্ত্রীকে ডি লিট দেওয়া হবে তা নিয়ে বিরোধী রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি শিক্ষামহলের একাংশও প্রশ্ন তোলেন। এমনকি, কলকাতা হাই কোর্টে তা নিয়ে মামলাও হয়েছিল।