এই মুহূর্তে জেলা

বাইকারের রহস্য মৃত্যু ,শোকের ছায়া চন্দননগরের সুরের পুকুর এলাকায়।

সুদীপ দাস, ১৯ মার্চ:- চন্দননগর সুরেরপুকুর এলাকার তরুণ যুবক ২৬ বছরের সুমন মাঝি। সকলের কাছে পরিচিত বাইক প্রেমি বা বাইক রাইডার হিসেবে। তার নিজের পালসার ২৫০ গাড়ি নিয়ে পাহাড় পর্বত অ্যাডভেঞ্চার কে জয় করাই ছিল তার নেশা।সকলের কাছে তার বাইক চালানো এবং বিভিন্ন দুর্গম স্থান অতিক্রম করে ফিরে আসায়, সে তার এলাকায় যথেষ্টই পরিচিতি লাভ করেছিল। এই রাজ্যের অনেক বাইক প্রেমী মানুষ তাকে চেনে। কখনো এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হয়নি সুমন। নানা রকম প্রতিকূলতা কাটিয়ে সব সময় সে সাফল্য লাভ করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত্রে তারই বন্ধু হাবুল খা তাকে ডেকে নিয়ে যায় তার বাড়ি থেকে। এরপর বাড়ির লোক বহুবার ফোন করেছিল কিন্তু ফোনের রিং হয়েছে কেউ ফোন ধরেনি পরবর্তীকালে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়।

তারপর হঠাৎ বাড়ির লোকের কাছে সকালে তার অন্য এক বন্ধুর কাছ থেকে খবর পায় সুমন চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে পৌঁছুলে বাড়ির লোক দেখে পেট ফালাফালা করে চেরা ঘাড় গলা কাটা। পোলবা থানা মারফত জানতে পারে রাজহাট দিল্লি রোডে বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করে পড়েছিল। পুলিশ উদ্ধার করে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীকালে বহু চেষ্টার পরও সুমন মারা যায়। বাড়ির লোকের অভিযোগ যে কখনো কোন এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হয়নি তার অ্যাক্সিডেন্ট হল কিভাবে? দ্বিতীয় কথা পেট ফালাফালা করে কাটা কেন। তৃতীয়তঃ তার বন্ধু যে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেছিল সেই হাবুলের ফোন বন্ধ কেন এবং সে কোথায়? পরিবারের লোক পোলবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এখনো পর্যন্ত বন্ধু হাবুল পলাতক রয়েছে। যদিও পুলিশ প্রাথমিকভাবে অ্যাক্সিডেন্ট বললেও পরে জানায় যে রাস্তার পাশে তার দেহ পড়ে থাকা দেখেই পুলিশ অনুমান করেছিল একসিডেন্ট হয়েছে। তবে হাবুল কে গ্রেপ্তার না করলে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন হবে না। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।বাইক প্রেমিক মানুষদের কাছে সুমনের মৃত্যু বেদনাদায়ক বলেই জানা গেছে।