কলকাতা, ৮ মার্চ:- রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক স্তরে আজ বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। চার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে বদল আনার পাশাপাশি রাজ্য স্তরেও নেতাদের দ্বায়িত্বে বেশ কিছু অদল বদল করা হয়েছে।কলকাতার নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির অধিবেশন থেকে দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই রদবদলের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রাজ্য তৃণমূলের সহ সভাপতি করা হয়েছে তাপস রায়কে। তাই তাঁকে উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। ওই জায়গায় জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হল তুষার দলুইকে। সৌমেন মহাপাত্রকে এই সাংগঠনিক জেলায় চেয়ারম্যান করা হয়েছে। বনগাঁর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে গোপাল শেঠকে। কৃষ্ণনগরের জেলা সভাপতি পদে আনা হল কল্লোল খানকে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেন, বনগাঁ নিয়ে একাধিক অভিযোগ এসেছিল। তাই এখানকার জেলা সভাপতি বদল করা হল। তিনি আরও জানিয়েছেন পরে যদি মনে হয় কোনও জেলায় সভাপতি বদল করা দরকার, তাহলে তা করা হবে। সুব্রত বক্সী দলের সভাপতি পদে থাকছেন।
সৌগত রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, শতাব্দী রায়, মানস ভুঁইয়াকে রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি পদে রাখার ঘোষণা করা হয়। দেব, ডেরেক ও’ব্রায়েন, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কেও রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি করা হয়েছে। অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম, কুণাল ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ, মনোরঞ্জন ব্যাপারি সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন। সাংস্কৃতিক কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজ চক্রবর্তীকে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ডেরেক ওব্রায়েন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষদের নিয়ে মিডিয়া কমিটি তৈরির কথাও নেত্রী আজ ঘোষণা করেন। দেশের উত্তর-পূর্বে সংগঠনের দায়িত্ব মানস ভুঁইয়াকে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সহায়তা করবেন সব্যসাচী দত্ত। বিধায়ক সহ দলের সর্ব স্তরের নেতাদের তিনি আজ কড়া বার্তাও দেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বলেন, দলের নির্দেশ ও শৃঙ্খলা না মানলে যে কোনও নেতাকেই কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।বিধানসভায় নিয়মিত বিধায়কদের আসতে হবে। অনুমতি না নিয়ে অনুপস্থিত হওয়া যাবে না। উচ্চ মাধ্যমিক শেষের পর ৫ মে নতুন সরকারের এক বছর পূর্ণ হবে। তাকে সামনে রেখে ২ মে থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত নতুন করে জনসংযোগের কর্মসূচির কথাও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী আজ ঘোষণা করেন।