এই মুহূর্তে কলকাতা

কাঁচা পাটের দামের উর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্র।

কলকাতা, ১৯ মে:- অবশেষে কাঁচা পাটের দামের উর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। জুট কমিশনের দফতর থেকে বৃহস্পতিবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জুট কমিশনার মলয় চন্দন চক্রবর্তীর স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বাজারের বর্তমান অবস্থা ও কাঁচা পাটের যোগান পর্যালোচনা করেই এই সংক্রান্ত পূর্ববর্তী নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হল। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং কাঁচা পাটের দামের উর্ধ্বসীমা প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে অর্জুনের বড় জয় হল বলেই মনে করা হচ্ছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় জুট কমিশনার কাঁচা পাটের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কুইন্টাল প্রতি পাটের দাম ৬৫০০ টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে আপত্তি করেছেন অর্জুন।বস্তুত পাটের দামের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া নিয়ে আপত্তি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন অর্জুন। তিনি মমতাকে বলেছিলেন, আপনি লড়াই করুন, আমি আপনার পাশে থাকব। তা থেকে অনেকেরই ধারণা হয়েছিল যে অর্জুন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যেতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে অর্জুনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান বস্ত্র মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। গত সোমবার নয়াদিল্লিতে এ ব্যাপারে বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে জুট শিল্পের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে অর্জুন বলেছিলেন, ললিপপে ভুলছি না। অর্জুনের বিরোধিতা নিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের পাল্টা মতও ছিল। তাঁদের বক্তব্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজে থেকেই পাটের দামের উর্ধ্বসীমা কুইন্টাল প্রতি ৬০০০ টাকা স্থির করে দিয়েছিল। তা জুট কমিশনারের বেঁধে দেওয়া দামের থেকেও কম। কই তখন তো আপত্তি করেননি অর্জুন সিং। বস্ত্র মন্ত্রকের একটি সূত্রের এও বক্তব্য, প্রতি কুইন্টাল পাট উৎপাদনের খরচ ২৮৩২ টাকা। পাটের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ৪৫০০ টাকা। সেই তুলনায় ৫০ শতাংশ মুনাফা রেখে পাটের দামের উর্ধ্বসীমা স্থির করা হয়েছিল।দীর্ঘ চাপান উতরের পর জয় হল অর্জুনেরই। এদিন কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জানার পর সন্তোষ প্রকাশ করে টুইট করেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। তিনি লেখেন,”পশ্চিমবঙ্গের পাট চাষী ও শ্রমিকদের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে কাঁচা পাটের সর্বোচ্চ দাম প্রত্যাহার করার দাবি করেছিলাম।আজ জুট কমিশনারের দফতর সেই নির্দেশনামা প্রত্যাহার করল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার বাংলার পাট চাষি আর শ্রমিকদের দাবিকে মান্যতা দিলেন। আমি ফোন করে বস্ত্র মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে এই সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি।”