এই মুহূর্তে জেলা

৩বছর প্রেমের পর ১২বছরের বিবাহিত জীবন ছেড়ে নতুন প্রেমিকের সাথে পলাতক গৃহবধু!

সুদীপ দাস, ২ ফেব্রুয়ারি:- বাইরে থেকে কাজ করে দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরেছিলেন বছর কুড়ির তরুন। এক দেখাতেই ইয়ং-ড্যাশিং সেই যুবকের প্রেমে পরেছিলেন পাশের এলাকার বছর ১৫-র কিশোরী। বছর তিনেক চুটিয়ে প্রেমের পর চার হাত এক হয় তাঁদের। বিয়ের বছর খানেক পরই প্রথম পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় তরুনি। বছর ছ’য়েক পর আরও এক পুত্র সন্তানের মুখ দেখে সেই দম্পতি। স্ত্রী-পুত্রের টানে বাইরের পাট চুকিয়ে এলাকাতেই কাজ শুরু করেন তরুন। সেই থেকে ভালোই চলছিলো সংসার। লকডাউনেই সেই সুখের সংসারে নেমে আসে চরম বিপত্তি। কাজ হারায় তরুন। শুরু হয় অর্থনৈতিক সংকট। পরে অবশ্য দিনমজুরের কাজ শুরু করেন তরুন। কখনও রং মিস্ত্রী, কখনও রাজমিস্ত্রী একাধিক কাজ জানা তরুনের ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি।

কাজের জগৎ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও নিজের গৃহীনী কিন্তু অস্বাভাবিক জগতে পা রাখা শুরু করেছে তা ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি তরুন। কখনও ফোন না ব্যাবহার করা নিজের স্ত্রীর হাতে একটি ফোন দেখে সন্দেহ হয়েছিলো বটে, কিন্তু সেই ফোন কুড়িয়ে পেয়েছে বলায় বিশ্বাসও করে নেয় তরুন। কিন্তু সেই ফোনেই যে স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক সুমধুর হচ্ছে তা বুঝতে পারেনি তরুন। মাস তিনেক আগে ছোট ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেড়িয়ে যায় স্ত্রী। আর বাড়ি ফেরেনি সে। পরে একবার অবশ্য স্বামীর সাথে যোগাযোগ করেছিলো স্ত্রী। তখন জানিয়ে দেয় আমি কাজে এসছি। দু’বছর পরে আসবো। কিন্তু তারপর থেকে সেই ফোনে আর যোগাযোগ করতে পারেননি বর্তমানে যৌবনে পা দেওয়া ওই যুবক।

শ্বশুরবাড়ীতে গিয়ে জানতে পারে স্ত্রী অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে। চুঁচুড়া থানায় বৌ নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে যুবক। কিন্তু ৩মাস হয়ে গেলেও কোন খোঁজ মেলেনি স্ত্রী ও ছোট ছেলের। চুঁচুড়ার চকবাজার ২নম্বর সোনাটুলি লেনের যুবক সেখ সালাউদ্দীন তাই ভালোবাসার বৌ সালমা বিবি ও আদরের ছোট ছেলে সেখ আরমানের চিন্তায় নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন। কাজেও মন বসছে না। নিজের কাছে থাকা ১১ বছরের বড় ছেলে সেখ আমান দিনরাত মা ও ভাইয়ের অপেক্ষায় দিন গুনছে। সালাউদ্দীন প্রতি দিনকার মত বুধবারও চুঁচুড়া থানায় খোঁজ নিতে গিয়েছিলো। কিন্তু আজও স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ না পেয়ে গোমরা মুখেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে সালাউদ্দীনকে। এদিন থানার সামনে দাঁড়িয়ে চোখ ছলছল চোখে সালাউদ্দীন জানায় সালমার সাথে আমার আইন মোতাবেক বিবাহ হয়েছে। ও এরকম করবে কোনদিন দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। ছোট ছেলেটা আমার বড্ড প্রিয়। সালমা ছেলেটাকে নিয়ে ঘরে ফিরে আসুক। আমি সালমাকে চলে যাওয়ার বিষয়ে কিছু বলবো না। দুটো ছেলের ভবিষ্যতের দিকে তাঁকিয়ে আমি আবার সালমার সাথে নতুন করে সংসার করবো।