এই মুহূর্তে জেলা

বেসুরো সুবীরের সুর বদল, আড়াই বছর পর হুগলী সাংগঠনিক অফিসে বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি!

সুদীপ দাস, ২ ফেব্রুয়ারি:- দিন কয়েক আগেই বেসুরো হয়েছিলেন বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুবীর নাগ। নিজের বাড়ি থেকেই দলের বর্তমান নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সুবীর নাগ। জেলা নেতৃত্বদের মধ্যে হুগলী লোকসভার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নাম করে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে চুঁচুড়ার পেয়ারাবাগানে সুবীর নাগের পাড়ার একটি ক্লাবে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের সাথে সুবীরবাবুর মঞ্চ ভাগ করা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। সেদিন তৃণমূল সাংসদের হাত থেকে সুবীরবাবুকে সংবর্ধনা নিতেও দেখা যায়। সেবিষয়ে ঐদিন সুবীরবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া নেন সাংবাদিকরা। সেই প্রতিক্রিয়াতেই দলের জেলা নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুবীর নাগ। তিনি বলেন আড়াই বছর ধরে তাঁকে দলের কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। তাই তাঁকে কোন বিজেপি অনুষ্ঠানে দেখা যায় না। যদিও তৃণমূল নেতার সাথে একই অনুষ্ঠানে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন ওটা পাড়ার ক্লাবের অনুষ্ঠান। তার সাথে কোন রাজনৈতিক ব্যাপার নেই।

তবে একইসাথে বিজেপির সাথে তাঁর দূরত্বের বিষয়টি তাঁর বক্তব্যেই প্রকাশিত হয়। তিনি তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছিলেন তৃণমূল যদি তাঁকে ডাকে তাহলে তিনি দল বদলের কথা ভাবতে পারেন। সুবীরবাবুর ক্ষোভ প্রকাশের পরের দিনই চন্দননগরে উপস্থিত হয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতা দিলীপ ঘোষও এবিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। দিলীপবাবু বলেন উনি (সুবীর নাগ) কোন গরু-বাঁছুর নয়, যে তাঁকে বেঁধে রাখা যাবে। দিলীপবাবুর এই প্রতিক্রিয়ার পর কার্যত সুবীরবাবুর দলত্যাগ সময়ের অপেক্ষা বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। তবে দিনকয়েক পরই আজ সুবীরবাবুকে ফের বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা অফিসে দেখা গেলো। সুবীরবাবু হুগলীর জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারের পাশে বসে টিভিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন শুনতে দেখা গেলো সুবীর নাগকে। এদিন দিল্লী থেকে বাজেট নিয়ে আত্মনির্ভর অর্থব্যাবস্থা নামক কর্মসুচিতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষন দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘ আড়াই বছর পর ফের কেন দলীয় কার্যালয়ে? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে সবীরবাবুর সাফ জবাব আমি বলেছিলাম আমাকে দলীয় নেতৃত্বরা কোন কর্মসুচিতে ডাকেনি। তাই যাই নি। কিন্তু আজকের কর্মসুচিতে আসার জন্য আমার ভাই তুষার মজুমদার(হুগলী সাংগঠনিক জেলা সভাপতি) আমাকে আমন্ত্রন জানিয়েছে। তাই এসেছি। আর তৃণমূলটেকে ডাক পাওয়ার বিষয়ে সুবীরবাবুর বক্তব্য এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।