এই মুহূর্তে জেলা

পুলিশের ঘুষের টাকা জোগাড় করতে নিজের রক্ত বিক্রি করতে হাসপাতালে গৃহবধূ।

তারকেশ্বর, ১৭ জানুয়ারি:- পুলিশকে টাকা দিতে হবে, না হলে বিচার হবে না। পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য এক নির্যাতিতা গৃহবধূর। তাই টাকা জোগাড় করতে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিজের রক্ত বিক্রি করতেও তৈরী তিনি। সাত সকালেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। যদিও হাপতালেলের কর্মীরা তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেন। গৃহবধূর নাম মধুমিতা পাল, বাপের বাড়ি পাণ্ডুয়া থানা এলাকায়, বছর দশেক আগে পুরশুরা থানার ভাঙ্গামোড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ পালের সাথে বিয়ে হয় মধুমিতার। বিয়ের পর থেকেই বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার চাপ দিয়ে মারধোর থেকে মানসিক নির্যাতন সবই চালাতো গুনোধর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির পরিজনরা। বর্তমানে দুই সন্তানের মা মধুমিতা।

অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকায় গত বছর নভেম্বর মাসে পাণ্ডুয়া থানায় স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির বেশ কয়েক জনের নামে লিখিত অভিযোগ জানায় মধুমিতা। এর পর বার বার পাণ্ডুয়া এবং পুরশুরা দুই থানার দ্বারস্থ হয়েও কোনো ফল পাননি বলে অভিযোগ মধুমিতার। সুবিচার পাওয়ার জন্য পুলিশকে টাকা দিতে হবে বলেও অভিযোগ তার। এমত অবস্থায় কোর্টের দ্বারস্থ হন মধুমিতা সেখানেও উকিলের জন্য লাগবে টাকা। তাই টাকা জোগাড় করার আর কোনো উপায় না পেয়ে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতাল রক্ত বিক্রি করতে আসেন মধুমিতা। এই বিষয়ে পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ জানান, এটা একটা অশনি সংকেত দিচ্ছে। ভয়ংকর অবস্থা। তারকেশ্বরের জন্য এটা খুবই ভয়ংকর পরিস্থিতি। এখন শুধু দেখার পুলিশ ও প্রশাসন ওই নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ায় কিনা।