হুগলি, ১৭ নভেম্বর:- ২০২১ সালে সর্বগ্রাসী বন্যা হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার ছটি ব্লকেই গ্রাস করেছিল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খানাকুল। এই খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের বন্দর এলাকায় একটি পাকা ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে বন্যার জলে ভেঙে পড়ে। এর জেড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জল কমে গেলেও সেই ব্রিজ মেরামতির কোনোও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের বলে অভিযোগ। এর জেরে কয়েক হাজার চাষী ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলছে। কেননা খানাকুলের ওই এলাকার মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ওই ব্রীজ। আরামবাগ থেকে খানাকুলের বন্দর গামী রাজ্য সড়কের ওপর তৈরি ব্রীজটি বন্যার জেড়ে ভেঙে পড়ায় মাথায় হাত চাষী ও এলাকার সাধারণ মানুষের। এমনিতেই বন্যার জেরে চাষের বহু ক্ষতি হয়েছে। বন্যার জন্য কয়েক হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, তার ওপর সবজির ফসলের মরসুনে মাঠে যেতে না পারলে আর্থিক সংকটে পড়বেন তারা। চাষের জন্য সবতীয় সামগ্রী জমিতে নিয়ে যাওয়ার অসুবিধার পাশাপাশি শ্রমিকদের যেতে অসুবিধা হচ্ছে। আরামবাগ থেকে বন্দর গামি বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে পারছে না। স্কুল খুলে যাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ ভোগান্তি চরমে।
জানা গেছে ব্রীজের তলায় জল না কমায় কাজ করা যাচ্ছে না। এলাকার চাষীদের স্বার্থে ব্রীজের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, চাষীদের স্বার্থে নাকি এই অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করা হবে। এই বিষয়ে খানাকুল দু’নম্বর বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমরা ইতিমধ্যে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। যাতে করে চাষের মৌসুমে চাষীদের ক্ষতি না হয়।ব্রীজ সংস্কারে জন্য উচ্চ প্রশাসন ও পিডব্লুডিকে জানানো হয়েছে। অপদিকে পিডব্লুডি রোডস এর ইঞ্জিনিয়ার সুমিত বিশ্বাস জানান বন্যার জন্য ব্রীজের ক্ষতি হয়েছে। নতুনভাবে ব্রীজ তৈরি করার আগে আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। জল না কমলে কাজ করা যাবে না। ব্রীজের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা তৈরির জন্য টেন্ডার হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা দ্রুত রাস্তা তৈরি করব। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শীতের মৌসুমে এলাকার বহু মানুষ চাষাবাদ করে জীবন যাপন করেন,তাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো ব্রিজ। তাই অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হলেও তাই দ্রুত ব্রীজ সংস্কারের দাবি তুলেছে তারা।