এই মুহূর্তে কলকাতা

সোমবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন হতে চলেছে সুব্রতময়।

কলকাতা, ৭ নভেম্বর:- সোমবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন হতে চলেছে সুব্রতময়। পূর্ব নির্ধারিত সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে অন্যতম প্রবীণ এই সদস্যকে সম্মান জানাবে রাজ্য বিধানসভা। প্রথমে শোকপ্রস্তাব পাঠ করবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তাঁর স্মৃতিচারণ করবেন বিভিন্ন দলের বিধায়করা। সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রথম বিধানসভায় পা রেখেছিলেন ১৯৭১ সালে। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন তিনি। দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে পরিষদীয় রাজনীতিতে কাটিয়েছেন। তারপর পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। আর তাঁর প্রয়াণে শোকেরছায়া বঙ্গ রাজনীতিতে। বিধানসভা সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূলের সব বিধায়কের পাশাপশি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এই স্মৃতিচারণায় সোমবার উপস্থিত থাকবেন বিরোধী বিধায়করাও। এর আগে অবশ্য বঙ্গ বিজেপির তরফ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, ১৩ নভেম্বরের আগে বিধানসভার কোনও অধিবেশনে তাদের দলের কোনও বিধায়ক যোগ দেবেন না। কিন্তু, সুব্রতর প্রয়াণের পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। নিজেদের সিদ্ধান্তে বদল এনেছে তারা। জানা গিয়েছে, সুব্রতর স্মৃতিচারণায় উপস্থিত থাকবেন একাধিক বিজেপি বিধায়ক। ও থাকবেন।

পাশাপাশি সোমবার বিধানসভায় থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন পায়নি বাম ও কংগ্রেস। ফলে স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার বিধানসভা বাম-কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র বিজেপি ও তৃণমূলের বিধায়করাই রয়েছেন সেখানে। কিন্তু, বিধানসভায় বাম ও কংগ্রেস না থাকায় মোটেই মন ভালো ছিল না সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। ভোটের ফল প্রকাশের পর তিনি জানিয়েছিলেন, “বাম ও কংগ্রেস না থাকলে এই বিধানসভায় ভালো লাগে না। আমরা এসে থেকে ওদের দেখেছি। ওরা খারাপ ভালো যাই হোক, বিধানসভার সব নিয়ম ওরা জানে। তর্ক–বিতর্কে ওদের সঙ্গে অংশ নেওয়া যায়। ওঁদের সঙ্গে মতের মিল না হলেও ওঁরা যুক্তিবাদী ছিলেন। বিজেপির থেকে ১২০ গুন ভালো বাম-কংগ্রেস। বিজেপির যুক্তির কোনও মাথা মুণ্ডু নেই। আমার পরিষদীয় রাজনীতির প্রথম দিন থেকেই ওঁদের বিধানসভায় দেখেছি। না থাকায় অস্বস্তি হচ্ছে। ৫০ বছর ধরে ওঁদেরই তো দেখে আসছি।”