এই মুহূর্তে কলকাতা

উত্তরাখন্ডে আটকে থাকা রাজ্যের পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হল নবান্ন।

কলকাতা, ১৯ অক্টোবর:- প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে উত্তরাখণ্ডে আটকে থাকা রাজ্যের পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হল নবান্ন। কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় অন্তত ৪৫ জন পর্যটক নৈনিতাল কেদারনাথ সহ উত্তরাখণ্ডের নানা এলাকায় আটকে রয়েছেন। তাদের উদ্বিগ্ন পরিজনদের তরফে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর উত্তরাখণ্ডে আটকে থাকা পর্যাটকদের ফেরাতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করে আটকে থাকা পর্যটকদের ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী উত্তরাখণ্ডের মুখ্য সচিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। কলকাতার ১০ জন পর্যটক কেদারনাথের কাছে রুদ্রনাথের পাহাড়ী পথে ধ্বস নামার কারণে আটকে ছিলেন। এদিন দুপুরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় বনদপ্তর এর কর্মীরা। ওই পর্যটকদের নিরাপদে গোপেশ্বরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দ্রুত তাদের রাজ্য ফেরানো হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে। সোমবার মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ধসে জেরবার উত্তরাখণ্ডের একটি বড় অংশ। এর জেরে বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র নৈনিতাল এবং কেদারনাথের রাস্তা বন্ধ।

কেদারনাথের বহু এলাকায় জল জমে গিয়েছে। সেখানে বেড়াতে গিয়ে ধসে আটকে পড়েছেন হুগলির চুঁচুড়ার বেশ কয়েকজন পর্যটক। অপরদিকে নৈনিতাল থেকে ফেরার পথে আটকে পড়েছেন হাওড়া, হুগলি, কলকাতা থেকে উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন ১৪ জন বাঙালি পর্যটক। পাশাপাশি রাজ্য়ের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও উত্তরাখণ্ডে আটকে পড়া পর্যটকদের খবর আসছে। চুঁচুড়া পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চুমকি রায় পরিবার নিয়ে কেদারনাথ বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রবল বৃষ্টির জেরে তাঁরা দুদিন ধরে আটকে। তিনি কোনও রকমে বাড়িতে খবর পাঠাতে পেরেছেন। তাঁর দাবি, পানীয় জলটুকু পাওয়া যাচ্ছে না। এবং স্থানীয় প্রশাসনের কোনও সহযোগিতাও পাচ্ছেনা তাঁরা। জানা যাচ্ছে, এই মুহুর্তে কেদারনাথে আটকা পড়ে আছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। অপরদিকে কলকাতা ও হাওড়ার কয়েকটি পরিবার নৈনিতালের কাছে আটকা পড়েছেন। সোমবার রাতেই কাঠগোদাম থেকে তাঁদের ট্রেন ধরার কথা ছিল। সেইমতো নৈনিতাল থেকে রওনা হয়েছিলেন ১৪ জনের ওই দলটি। কিন্তু পথেই ধস নামে। ফলে মাঝপথেই আটকে পড়েছেন ওই ১৪ জন বাঙালি পর্যটক। যার মধ্যেই অধিকাংশই হাওড়ার কোনার বাসিন্দা। শেষ খবর পাওয়া গিয়েছে মাঝপথে তাঁদের গাড়ি আটকে পড়ায় স্থানীয় একজনের বাড়িতে কোনও রকমে আশ্রয় মিলেছে ওই পর্যটকদের।