হাওড়া, ১১ অক্টোবর:- চিরাচরিত প্রথা মেনেই বেলুড় মঠে হচ্ছে দুর্গাপুজো। তবে, কোভিড পরিস্থিতিতে এবার পুজোয় ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার থাকছে না। মহাপঞ্চমী থেকেই বেলুড় মঠে প্রথা মেনে দেবী পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার বিকেলে মৃন্ময়ী মূর্তি নিয়ে আসা হয় মূল মন্দিরের ভিতরে। কোভিড কালে গত বছরেও যেখানে পুজো হয়েছিল এবারও ঠিক সেখানেই দেবীর মূর্তি বসানো হয়। এরপর দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে দেবীর সাজ-সজ্জা এবং অস্ত্র দান। সব শেষ হলে মঠের সন্ন্যাসী এবং ব্রহ্মচারীরা প্রাচীন রীতি মেনে জগন্নাথ মন্দির থেকে নারায়ণ শিলা বহন করে নিয়ে আসেন এবং নিয়ম মেনে মন্দিরের মধ্যে তার প্রতিষ্ঠা এবং ভোগাদি সম্পন্ন হয়। সোমবার ষষ্ঠী।
প্রত্যুষে ষষ্ঠ্যাদি এবং কল্পারম্ভ। সন্ধ্যায় দেবীর বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাস। সোমবার মহাষষ্ঠীর রীতি মেনে মায়ের কল্প এবং ষষ্ঠ্যাদি পালন হয়। এদিন ভোরে সন্যাসী এবং ব্রহ্মচারী মহারাজেরা শ্রীশ্রীমায়ের ঘাটে স্নান করে পবিত্র গঙ্গা জলপূর্ণ মঙ্গলঘট প্রথমে মায়ের মন্দিরে গিয়ে মাকে প্রণাম করেন। তারপর সম্মিলিতভাবে ঢাক বাজিয়ে মাথায় করে বহন করে এনে চণ্ডীমণ্ডপে রেখে রীতি মেনেই তা পূজা করেন। আজ সন্ধ্যায় সেই ঘট মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তির সামনে স্থাপন করে শুরু হবে মায়ের বোধন আমন্ত্রণ এবং অধিবাস। দর্শনার্থী ও ভক্তদের প্রবেশ না থাকলেও চিরাচরিত নিয়ম মেনেই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকানুসারে এবারেও দেবীর আরাধনা হচ্ছে। সেখানে কোনও খামতি থাকছে না। চিরাচরিত প্রথা মেনে কুমারী পুজো, সন্ধি পুজোও হবে। গর্ভগৃহে ভক্তরা যেখানে বসে আরতি দেখেন সেই নাটমন্দিরে দূর্গাপুজো হবে। করোনার প্রকোপে এবার মায়ের পুজো বাইরে হচ্ছে না। পুজো সরাসরি দেখা যাবে বেলুড় মঠের নিজস্ব ওয়েবসাইটে।