এই মুহূর্তে কলকাতা

যত্রতত্র করোনা টিককোরণ শিবির আয়োজনে লাগাম টানতে উদ্যোগী হল নবান্ন।

কলকাতা, ২৫ জুন:- ভুয়ো ভ্যাকসিন কণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার যত্রতত্র করোনা টিককোরণ শিবির আয়োজনে লাগাম টানতে উদ্যোগী হল নবান্ন। এবার থেকে সরাসরি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোন সংস্থা বা সংগঠন টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করতে পারবে না। এর জন্য নির্দিষ্ট জেলার জেলাশাসক বা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর অনুমতি বাধ্যতামূলক। ভুয়ো টিকা কাণ্ডের পর কড়া পদক্ষেপ নবান্নের। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, কোনওরকম টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করতে গেলে প্রশাসনের অনুমতি নিতেই হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট জেলার জেলাশাসক বা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর অনুমতি বাধ্যতামূলক। সম্প্রতি কসবায় ভুয়ো টিকা কাণ্ডের পর রাজ্যের এই পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ খুঁজে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি।

শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সায়ন্তন বসুও একই দাবি তুলেছেন। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কসবা ছাড়া উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজেও টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেন দেবাঞ্জন। ওই কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করেন, কর্তৃপক্ষের আস্থা অর্জন করার জন্য দেবাঞ্জন কলকাতা পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার পরিচয় দিয়ে প্রথমে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করেন। এর পর ১৮ জুন কলেজে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র বলেন, ‘শুধু কসবায় নয়, শহরের আরও বেশ কিছু জায়গায় ওই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের গোয়েন্দা শাখা বিষয়টির তদন্ত করছে। কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, কারা দিয়েছে, কীভাবে দিয়েছে, কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেটা নিয়ে তদন্ত হবে।’