হাওড়া , ১২ জুন:- যীশুখ্রীষ্ট থেকে বুদ্ধদেব, সব ধর্মের একটাই শেষ কথা ক্ষমাই পরম ধর্ম। মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এমনই উপমা টেনে আনলেন তৃণমূল নেতা বিধায়ক মদন মিত্র। শনিবার বালিতে এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি ওই মন্তব্য করেন। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, দিদি গদ্দারদের ফেরাবেন না বলেছেন, তাহলে মুকুল রায় কি গদ্দার নয়? এর উত্তরে নিজেকে ছোটো মাঠের খেলোয়াড় উল্লেখ করে মদনবাবু সবটাই দিদির সিদ্ধান্তের উপরে ছেড়ে দিয়েছেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন মদন মিত্র বলেন, “আমার ছোট থেকে আশা ছিল আমি একবার হার্লে-ডেভিডসন বাইক ছুঁয়ে দেখব। কখনো চালাবার সাহস তো ছিলই না। আগে ২৭ লাখ দাম ছিল। এখন তা ৪৫ লাখ। আজকে সেই গাড়িটাও একটু চালিয়েছি। ফলে এই মুহুর্তে তৃণমূলের আর এখন সাইকেলের স্পিড নেই। হাই পিক আপ মোটর বাইকের স্পিড। তৃণমূল এখন হার্লে-ডেভিডসনের স্পিডে রয়েছে। ২০২৪ এর নির্বাচনে বিরোধীদের দিদি ছাড়া প্রধানমন্ত্রীত্বে আর কোনও মুখ নেই।
ওদের যেমন একুশের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও মুখ ছিলনা, তেমন দিদি ছাড়া প্রধানমন্ত্রীত্বেও আর কোনও মুখ নেই। মন্ত্রিসভায় মদন মিত্র ঠাঁই পাননি এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে মদন মিত্র বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে থাকলে আর কিছু লাগে না। দল যা বলবে সেখানেই কাজ করব।” মুকুল রায়ের ঘরে ফেরা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মদন মিত্র বলেন, “পাওয়ার লিগের প্লেয়ারকে আপনি মারাদোনা আর মাদ্রিদের খেলার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছেন ? মুকুল রায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন, সেখানে আমি মন্তব্য করার কে? আমাদের কাছে দিদি যা বলেছেন তাই সব। তবে, ভগবান কৃষ্ণ থেকে বুদ্ধদেব, যীশুখ্রীষ্ট থেকে সবকিছুরই শেষ একটাই কথা, ক্ষমাই পরম ধর্ম।” উল্লেখ্য, এদিন বেলুড়ের বুড়িমা লজে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের উপস্থিত ছিলেন মদন মিত্র, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারা। বালির বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায় সহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদিন বাইকে চেপে স্বমহিমায় দেখা গেল মদন মিত্রকে।