আরামবাগ, ২০ মে:- দিনের কয়েক ঘন্টা ধরে লোডশেডিংয়ের জেরে গরমে নাজেহাল অবস্থা গ্রামের মানুষের। এদিন গ্রামের মানুষ লোডশেডিংয়ের হাত থেকে প্রতিকার চেয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায় ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের কামারপুকুর বিদুৎ দপ্তরে। অভিযোগ গোঘাটের হাজিপুর সহ বেশ কয়েেকটি জায়গায় দিনে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাধ্য হয়ে কামারপুকুর বিদ্যুৎ দপ্তরে বিক্ষোভে সামিল হন। উল্লেখ্য লাগামছাড়া করোনার সংক্রমনের জেরে গৃহবন্দী মানুষ। এই পরিস্থিতিতে একদিকে করোনা এবং অন্য দিকে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠে গেছে আমজনতা। তার ওপর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা।
এমতো অবস্থায় মানুষজনের ঘরে থাকা এক প্রকার দুঃসাহ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিন লোডশেডিংএ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গোঘাটের হাজিপুর এলাকার মানুষের জীবন। এই ভ্যাপসা গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। ফলে করোনার জন্য লকডাউনে বাড়ির মধ্যে থাকা দুঃসহ হয়ে উঠেছে। মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। এই জন্য বেশ কিছু মানুষ গোঘাট দু’নম্বর বিদ্যুৎ সাপ্লাই অফিসের আধিকারিকের কাছে লোডশেডিং নিয়ে কথা বলতে গেলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। ফলে শুরু হয় উতপ্ত বাক্যবিনিময়। এক প্রকার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইলেকট্রিক অফিস। এই বিষয়ে স্থানীয় মানুষ তথা কামারপুকুর পঞ্চায়েতের মুখ্য সঞ্চালক আবু আয়েস জানান,
এদিন হাজিপুর সহ বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষ লোডশেডিং সমস্যার জন্য কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে,ছাত্র ছাত্রীরা বাড়িতে যেমন পড়াশোনা করতে পারছে না তেমনি পিএইচই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানীয় জলের সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রচন্ড গরমে করোনা পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস অবস্থা এলাকার মানুষের। তাই আমরা বিদ্যুৎ দপ্তরে কথা বলা হয়েছে। ওনারা সাতদিন সময় দিয়েছেন। যদি সমাধান না হয় তাহলে উদ্ধতম কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। যদিও এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কামারপুকুরের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনও আধিকারিক মুখ খোলেননি। সবমিলিয়ে গোঘাটের হাজিপুর এলাকার মানুষের বক্তব্য লোডশেডিং সমস্যার সমাধান না হলে আরও বড়ো আন্দোলন করা হবে।