এই মুহূর্তে কলকাতা

এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হল মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও।


কলকাতা , ১৮ মে:- এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হল নারদ মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। মঙ্গলবার দুপুরে উডবার্নের ১০২ নম্বর কেবিনে তাঁকে ভরতি করা হয়েছে৷ তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সুব্রত মুখোপাধ্যায় কে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদও একবার তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কিন্তু তখন মেডিক্যাল পরীক্ষা না করেই জেলে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সকালে আবার তাঁকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সরোজ মণ্ডল তাঁকে দেখেছেন। পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বুকের এক্স রে করা হয়েছে বলেও খবর। এদিকে, মঙ্গলবার ভোররাতেই এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছিল নারদ মামলার আরও দুই অভিযুক্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রকে।

তাঁদের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৪ এবং ১০৩ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায়েরও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। তাঁকেও অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়েছে। তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে অক্সিজেন দিতে হয়। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সি জেলে জ্বর এসেছে ফিরহাদ হাকিমের। তড়িঘড়ি তাঁকে জেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেখানো হয়। তবে রাজ্যের মন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই গ্রেফতার করে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে। গ্রেফতার করা হয় সম্প্রতি বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ করা শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। সন্ধেয় ৪ জনকেই জামিনে মুক্তি দেয় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গতকাল রাতেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে সিবিআই। নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ, সিবিআই আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে জানায়, ধৃত ৪ নেতাকে বুধবার পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে। সেদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এরপর সোমবার রাতেই ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।