এই মুহূর্তে কলকাতা

টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হবে না, ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা, ১জুন:- উচ্চশিক্ষার সুবিধায় রাজ্য সরকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড অ্যাপ চালু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কলকাতার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে চলতি বছরের দশম ও দ্বাদশ স্তরের বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি এবং মেধাবী ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই অ্যাপের সূচনা করেন। কৃতিদের হাতে রাজ্য সরকারের তরফে ল্যাপটপ ঘড়ি, গল্পের বই শংসাপত্র, পুষ্প স্তবক তুলে দেওয়া হয়। টাকার অভাবে কারোর পড়াশোনা বন্ধ হবে না বলে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার কলকাতার মিলন মেলায় ২০২৩ সালের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মাদ্রাসা-সহ বোর্ড পরীক্ষায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এ কথা বলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

পাশাপাশি দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা যাতে তাদের সমস্যার কথা শিক্ষা দফতরে জানাতে পারে, সেজন্য শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মিলন মেলায় কৃতীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কোনও কাজ ফেলে রাখা পছন্দ করি না। যারা আমাকে চিঠি দিয়েছেন, পয়সার অভাবে পড়াশোনা হচ্ছে না। সেই সব চিঠি আমি মুখ্যসচিবকে হ্যান্ডওভার করেছি।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘টাকার জন্য আপনাদের পড়াশোনায় সমস্যা হবে না।’পাশাপাশি এদিন পড়ুয়াদের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কথা মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ৫০ হাজার স্টুডেন্টকে ১০ লাখ টাকা করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড করে দিয়েছি।

১০ লাখ টাকা করে এখন আপনারা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন। যাদের দরকার আবেদন করবেন, কেউ এক লাখ নিতে পারেন, কেউ ২ লাখ নিতে পারে, কেউ ৫ লাখ নিতে পারেন, কেউ ১০ লাখ নিতে পারেন। বাবা-মাকে জমি বিক্রি করে গ্যারান্টার হতে হবে না। ভ্যান চালিয়ে গ্যারান্টার হতে হবে না। রাজ্য সরকার আপনার গ্যারান্টার। রাজ্য সরকার টাকাটা জোগাড় করে দেবে। আপনারা শুধু আবেদনপত্রটা তাদের কাছে পৌঁছে দেবেন।’ছাত্রছাত্রীরা যাতে তারা নিজেদের সমস্যা ও অসুবিধার কথা শিক্ষা দফতরে জানাতে পারে, সেই জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘আমি ব্রাত্যদের বলব তোমরা শিক্ষা দফতরে একটা লেটকার বক্স করো। যারা কৃতী ছাত্র ছাত্রী বা দুঃস্থ, পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে না পয়সার জন্য। তারা ওই বক্সে আবেদনপত্র পৌঁছে দেবে, সেগুলির প্রত্যেকটা দেখে ব্যবস্থা নেবে।’ শুধু তাই নয়, শিক্ষা দফতরের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল তা সময়মতো মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।