হাওড়া , ১৭ মে:- নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গ্রেফতার হন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ। হাওড়ায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেস আইনজীবী সেলের পক্ষ থেকে বঙ্কিম সেতুর নীচে অবস্থান বিক্ষোভ হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস আইনজীবী সেলের সভাপতি মদন বন্দোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। এদিন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে। হাউসের পারমিশন না নিয়ে বেআইনিভাবে আমাদের নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যের জনগণের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত হলেও তারা সিবিআই দেখিয়ে ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা করছে। এটা সারা ভারতবর্ষ দেখছে। ভারতবর্ষে এটাকে মেনে নেবে না। আগামী ২০২৪ সালে এদের পতন অনিবার্য। দলের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তীকালে কি করা হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এদিন হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস আইনজীবী সেলের সভাপতি মদন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “যেভাবে সিবিআই আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছে, আমাদের দুই মন্ত্রী ও বিধায়ককে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করেছে। এই বেআইনী কাজ আমরা বরদাস্ত করতে পারি না।
যখন সিবিআই তদন্ত করছে অ্যারেস্ট করার নিয়ম চার্জশিট জমা দিতে হবে, তারপর ওয়ারেন্ট অর্ডার নেবে তারপর অ্যারেস্ট করতে পারে। ধর্নার দ্বিতীয় কারণ হলো আমাদের প্রখ্যাত আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার জুনিয়রকে হেনস্থা করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে এই ধর্না। এরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানেনা। আইনের ধারায় যা লেখা আছে অ্যারেস্ট করতে গেলে কিছু প্রভিশন আছে সেটাও তারা মানে না। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করেছে। চার্জশিট দেওয়ার মানে তদন্ত শেষ হয়ে গেছে। তাহলে গ্রেপ্তার করার মানে কি ? প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ৪জনকে যদি গ্রেপ্তার করে তাহলে আরও দুজন মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীকেও গ্রেফতার করা উচিত। তাদের কেন ছেড়ে দেওয়া হল। আইনত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সম্পূর্ণ প্রতিশোধমূলক কাজ করেছে। যেহেতু এই সরকার বিপুল ভোটে জিতেছে, তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা ষড়যন্ত্র। এরা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।” অন্যদিকে, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি ও পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চ্যাটার্জীকে গ্ৰেপ্তারের প্রতিবাদে হাওড়ার শ্যামপুর ১নং পঞ্চায়েত সমিতির ডিঙ্গাখোলা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা প্লাকার্ড হাতে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। হাতে প্লাকার্ড নিয়ে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের পদত্যাগের দাবি জানান তাঁরা।