এই মুহূর্তে জেলা

সেন্ট্রাল ফোর্স সাহায্য করছে বিজেপিকে। বাহিনীর ভরসায় বাংলায় ভোট করতে চাইছে বিজেপি। দাবি অরূপ রায়ের।

হাওড়া , ৭ এপ্রিল:-সেন্ট্রাল ফোর্স সাহায্য করছে বিজেপিকে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ভরসায় বাংলায় ভোট করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু তাতেও বাংলার ক্ষমতায় আসবে তৃণমূলই। দাবি অরূপ রায়ের। পাশাপাশি, আগামী ১০ তারিখ হাওড়ায় দ্বিতীয় দফার ৯টি আসনেও তৃণমূল প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করলেন দলের সদরের চেয়ারম্যান অরূপ রায়। বুধবার সকালে কদমতলার জেলা সদর কার্য্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে অরূপ রায় বলেন, “মঙ্গলবার হাওড়ায় প্রথম দফায় যে ৭টি কেন্দ্রের নির্বাচন হয়েছে তাতেও আমাদের আশা সবকটি আসনেই তৃণমূল জিতবে। তবে হাওড়ায় ১০ তারিখ দ্বিতীয় দফার ভোটে কেউ গুন্ডামি বা গন্ডগোলের চেষ্টা করলে ভয়ঙ্কর জনরোষের মুখে তাদের পড়বে হবে।” অরূপ রায়ের অভিযোগ, সেন্ট্রাল ফোর্স সাহায্য করছে বিজেপিকে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ভরসায় বাংলায় ভোট করতে চাইছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের ভরসায় ওরা ভোট করতে চাইছে। তা সত্বেও তৃণমূল ২২৫ এর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে অরূপ রায় দাবি করেন।

তিনি বলেন, “মমতাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। মোদী, অমিত শাহরা এখন ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন বাংলায়। কিন্তু বাংলা দখল করা এতো সহজ নয়।” ২ মে বিরাট পরাজয়ের পর তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে অরূপ রায়ের জবাব, “২ তারিখ দেখব কে বাংলা ছেড়ে চলে যাবে আর কে দেশ ছেড়ে চলে যাবে।” এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অরূপ রায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামনে রেখে বলেন, “গতকাল ৬ মার্চ ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী সম্মানীয় নরেন্দ্র মোদী মহাশয় এসে আমাদের ডুমুরজলায় একটি হ্যাঙার সভা করেছেন। ওনার ভাষণের প্রতিটা ছত্রে হাওড়াবাসীরা শুনেছে অসত্য এবং অর্ধসত্যের অবতারণা। উনি অভিযোগ করেছেন, হাওড়ার শিল্পকে মমতা ব্যানার্জী ধ্বংস করেছেন। হাওড়াবাসী জানতে চায় বার্ণ স্ট্যান্ডার্ড, রেমন্ড ইন্ঞ্জিনিয়ারিং এবং হুগলী ডককে কারা গলা টিপে খুন করেছেন ? উনি অভিযোগ করেছেন হাওড়ার জল নিকাশী নিয়ে। আমরা জানতে চাইছি,

১) গঙ্গা এ্যাকশন প্ল্যান বন্ধ করে দিয়ে নমামি গঙ্গে প্রকল্পের কত টাকা রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র দিয়েছে তার তথ্য দিন। ২) JNNURM প্রকল্প বন্ধ কেন করে দিলো বিজেপি সরকার তার জবাব দিন। ৩) কেন্দ্রের জলসম্পদ মন্ত্রককে বারবার জানানোর পরেও কেন স্বরস্বতী খাল এবং বালি খালের সংস্কারের টাকা কেন আটকে রেখেছেন, তার উত্তর দিন। এরপরেও আমরা বলতে পারি হাওড়া পুর এলাকায় বছরে জল জমার পরিসংখ্যানে গুজরাতের ডবল ইন্ঞ্জিনের বিজেপি সরকারের সুরাট বা আহমেদাবাদ পৌর এলাকার থেকে অনেক এগিয়ে। উনি বলেছেন সিন্ডিকেট নিয়েও। আমরা জানতে চাইছি দেশের কৃষি, পরিবহন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বীমা, যোগাযোগ, গণ পরিবহন, প্রতিরক্ষা সহ পুরো দেশ যখন আজ নির্দিষ্ট গুটিকয় শিল্পগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করে তখন কি সত্যিই সিন্ডিকেটের কথা প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায় ?

বিগত

১০ বছর তৃণমূল কংগ্রেস শাসনে আমরা হাওড়াবাসী যখন সত্যিই যমজ শহরের অহঙ্কার অনুভব করছি, তখন গতকাল প্রধানমন্ত্রীর আগাগোড়া অসত্য ভাষণ হাওড়াবাসীকে অসম্মান করেছে। যিনি সারা দেশে ৫০০টি স্মার্ট সিটির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তিনি কেন বলছেন না হাওড়ার উন্নয়নে কত টাকা কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক গত সাত বছরে বরাদ্দ করেছেন। আমরা আশাকরি নির্বাচনের আগেই এই সহজ সরল প্রশ্নগুলির উত্তর প্রধানমন্ত্রী মহোদয় দেবেন। হাওড়াবাসী মনে করে অন্তত প্রধানমন্ত্রী রাজধর্মকে লুকিয়ে রাখবেন না।”