এই মুহূর্তে জেলা

করোনা আক্রান্ত , শারীরিক প্রতিবন্দী , ও ৮০ বছরের উর্ধে মানুষদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটের সিদ্ধান্ত কমিশনের।

কলকাতা , ২৩ ফেব্রুয়ারি:- বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের জন্য এবার সব ভোটগ্রহন কেন্দ্র একতলায় করার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে একথা জানান হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয় এ বছরের রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা হল ১০১৯১৬। এবারে বুথের সংখ্যা বাড়ল ২৩০১৩। মূলত করোনা বিধি মানতেই এই প্রয়াস নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সাধারণত রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ছিল ৭৮৯০৩। এতদিন পর্যন্ত একটি বুথে সর্বাধিক ১৫০০ ভোটার ভোট দিতে পারতেন কিন্তু করোনা বিধির জন্য আগামী নির্বাচনে সর্বাধিক ১ হাজার ভোটার ভোট দান করতে পারবেন।

কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ভোটের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক অফিসারদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এবং তার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। বুথে যারা থাকবেন অর্থাৎ পোলিং এজেন্ট, পোলিং অফিসার সবাইকে কমিশনের তরফ থেকে মাস্ক, গ্লাভস, ফেস শিল্ড, স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। অন্যান্য ভোটারদের জন্য থাকছে এক হাতে পরার গ্লাভস যা দিয়ে তারা সই এবং ভোট দিতে পারবেন, অন্য হাতটি খালি থাকবে কালি লাগানোর জন্য। থাকবে দেহের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থাও এক্ষেত্রে কমিশন একটি পদ্ধতিকে প্রয়োগ করতে চলছে। যার দেহে তাপমাত্রা সাধারণ তাপমাত্রা থেকে বেশি পাওয়া যাবে তাকে দ্বিতীয় বার তাপমাত্রা মাপা হবে কিন্তু সে ক্ষেত্রেও যদি অস্বাভাবিক তাপমাত্রা পাওয়া যায় তাহলে তাকে একটি বিশেষ ধরনের টোকেন বা কুপন দেওয়া হবে যা দিয়ে তারা শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ বিকেল পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে ভোট দিতে পারবেন।

তবে সেই সময়ে সাধারণ ভোটারও ভোট দিতে পারেন। বিশেষ প্রয়োজন এর জন্য বুথে থাকবে পিপিই কিট। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশন এবার তিনটি ক্যাটাগরিতে সাধারণ ভোটারদের ভাগ করেছেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী, যারা করোনায় চিকিৎসাধীন এবং ৮০ বছরের উর্ধ্বে বয়স্ক মানুষ। তাদের জন্য নির্বাচন ঘোষণার পরপরই বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেওয়া হবে। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যেই রাজ্যে কিছু কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে। তারা কিছু জায়গাতে রুট মার্চ শুরু করে দিয়েছে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে তারা আশ্বস্ত করেছেন নির্বিঘ্নে ভোট হবে বলে।