এই মুহূর্তে কলকাতা

বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র , আগামীকাল রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক বামেদের।

রিঙ্কা পাত্র , ১১ ফেব্রুয়ারি:- বিরাট ব্যারিকেড সিঙ্ঘু সীমানার মতো গুঁড়িয়ে দেবে বাম যুব ছাত্ররা। এমনই হুঁশিয়ারি বাম নেতাদের। কলকাতা থেকে সিপিআইএম ও বাম দলগুলির। শাখা সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। এদিকে সকাল থেকেই হাওড়ায় রাজ্য প্রশাসনিক কার্যালয় ঘিরে হই হই পরিস্থিতি। পাঁশকুড়া পূর্ব কেন্দ্রের সিপিআইএম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি ও বাম সমর্থকরা নবান্ন চত্বরে ঢুকে পড়েন। তাদের গ্রেফতার ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নবান্ন অভিযান রুখতে চারটি ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি থেকে মিছিল ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা। রাখা হয়েছে জলকামান। অভিযোগ, সকালেই পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। রাত থাকতেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে কলকাতার দিকে বাম যুব সংগঠন গুলির সদস্যরা কলকাতা আসতে শুরু করেছেন। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে তাঁরা হাওড়ায় রাজ্য প্রশাসনের সদর কার্যালয় নবান্ন ভবন ঘেরাও করবেন কলকাতা ও হাওড়া সংলগ্ন দুই ২৪ পরগনা থেকে মিছিল ঢুকতে শুরু করেছে হাওড়া স্টেশনে। হুগলি শহরতলী থেকেও মিছিল আসছে।

বাম সংগঠনগুলির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে রাজ্যের কর্মসংস্থান শিকেয় উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করা ‘ব্যাপক কর্মসংস্থান’ আদতে ভুয়ো। শিল্পের দাবি ভিত্তিহীন। তাই নবান্ন ঘেরাও করা হবে। হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগে বাম সংগঠনগুলির নবান্ন অভিযানের ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই দিক খেলার রেখে নিরাপত্তার কড়াকড়ি আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনওভাবেই নবান্ন ভবনের চৌহদ্দিতে মিছিল ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রশাসনিক কাজ যেমন চলছে তেমনই চলবে। সিপিআইএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, সিপিআইয়ের ছাত্র ও যুব নেতৃত্ব থাকবেন মিছিলে। থাকছেন কংগ্রেসের যুব নেতারা ও তাদের ছাত্র সংগঠন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে নবান্ন অভিযান বিরোধা বাম-কংগ্রেস জোটের তরফে দুই দলের যুব কর্মীদের কাছে ‘লড়াইয়ের বার্ত’ বলে মনে করা হচ্ছে।

বাম ছাত্র ও যুব সংঠনের ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে রাতে ধুন্ধুমার কাণ্ড মালদহ স্টেশনে। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে কলকাতা যাওয়া বাম সমর্থকদের রুখতে এসে ‘মার খেয়ে’ ফিরলেন বিজেপি সমর্থকরা। বুধবার রাতে এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ মালদহ স্টেশন ছিল উত্তপ্ত। সিপিআইএমের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে এই মারমারির ছবি প্রকাশ করা হয়। বাম যুব সংগঠনগুলির অভিযোগ, মালদহ স্টেশনে তৃণমূল ছেড়ে আসা বিজেপির সমর্থকরা বাধা দেয় ও কটুক্তি করে। এরপরেই তাদের ধরে ফেলা হয়। ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে সিপিআইএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা ঘিরে ধরে কয়েকজনকে মারধর করছে। তাদের অভিযোগ, হামলা করতে এসেছিল বিজেপি। যদিও মালদহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মিছিলের ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক বামেদের।