এই মুহূর্তে কলকাতা

শেষ ধাপে মহাকরণ সংস্কারের কাজ , ভোটের পর সচিবালয় ফিরতে পারে রাইটার্সে

কলকাতা , ১ জানুয়ারি:- নতুন বছরে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে শহর কলকাতার এক অন্যতম ঐতিহ্য রাইটার্স বিল্ডিং। ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর ছিল রাইটার্স ভবন। দীর্ঘ সাত ব ধরে সংস্কারের কাজ চলার পর অবশেষে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ ঘটতে চলেছে মহাকরণের। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বহু ইতিহাসের সাক্ষী, মহাকরণের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখে, ব্লক ওয়ান, ব্লক টু এবং মেন ব্লকের একাংশ সংস্কার করা হয়েছে। ব্লক ওয়ানে যে সমস্ত ঘর আছে, হেরিটেজ মর্যাদার কথা মাথায় রেখে তার মূল কাঠামো একই রাখা হয়েছে। সেখানে দরজার মাপ ও ঘরের দৈর্ঘ বেড়েছে।বিদ্যুত সংযোগ ঢেলে সাজানো হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মহাকরণ সংস্কারে মোট ১৫০ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ৪০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। মেঝে তৈরি আর অল্পস্বল্প রূপটানের কাজ শেষ হলেই ফের একবার ব্যবহারের উপযুক্ত হয়ে উঠবে রাইটার্স।সেক্ষেত্রে বিধান সভা ভোটের পর ফের সচিবালয় মহাকরণে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৩ সালের ৭ অগাস্ট রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর মহাকরণ থেকে নবান্নে স্থানান্তরিত করার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই শুরু হয় সংস্কারের প্রক্রিয়া। মহাকরণ সংস্কারের ঘোষণার পর রাজ্য সরকার প্রথমেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে।

হেরিটেজ কমিশন এবং বিদেশের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাওয়া হয়।ঐতিহ্য অটুট রেখে সংস্কার কী ভাবে হবে – সে ব্যাপারে যাদবপুরের বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হয়। তৈরি হয় উচ্চপর্যায়ের কমিটি। এরপর ৭ বছর ধরে চলেছে সংস্কারের কাজ।এখন যা শেষের পথে। এই লালবাড়ি থেকেই ব্রিটিশরা একসময় দেশ শাসন করেছেন।তারপর আটজন মুখ্যমন্ত্রী এই ভবন থেকেই রাজ্য শাসন করেছেন।১৭৭৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্লার্ক বা রাইটারদের থাকার জন্য লালদিঘি পাড়ে তৈরি হয় এই ভবন। নাম দেওয়া হয় রাইটার্স বিল্ডিং।নির্মাণকাজ চলেছিল ১৭৭৭ থেকে ১৭৮০ সাল পর্যন্ত। পরে ধাপে ধাপে ১৮২১, ১৮৮৯ এবং ১৯০৬ সালে এর সম্প্রসারণ করা হয়। স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্য সরকারের সদর দফতর ছিল এই ভবন।২০১৩ সালে তা স্থানান্তরিত হয় গঙ্গার ওপাড়ে নবান্নে। তখন থেকেই মহাকরণে শুরু হয় সংস্কারের কাজ।বহু যুগ পরিবর্তনের নীরব স্বাক্ষী রাইটার্স বিল্ডিং হৃত গৌরব ফিরে পেতে প্রস্তুত দেখে খুশি এখানকার দীর্ঘ দিনের কর্মীরা।তবে প্রশাসন সূত্রের খবর, কাঠামো সংস্কার হলেও, এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি। তবে তা দ্রুত শেষ করা যাবে বলে আশাবাদী রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের কর্তারা।