এই মুহূর্তে জেলা

হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা যুবকের !

হুগলি , ২২ এপ্রিল:- বৈদ্যবাটি রামমোহন সরণীর বাসিন্দা অমিত দাস (২৪) গত ১৮ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলো। সেদিন রাত দশটায় তার দেওয়া স্ট্যাটাস প্রথম নজরে পরে অমিতের এক মামা গোপাল পালের। স্ট্যাটাসে দেখা যায় বালি ব্রীজে দাঁড়িয়ে অমিত একটি ভিডিও শুট করেছে। সেই ভিডিওতে সে বলছে,’আমার এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না।পারলে আমাকে ক্ষমা কোরো সবাই। আজকে আমার জীবনটা শেষ হচ্ছে শুধু মাত্র সঙ্গীতার জন্য। ও আমার জীবনটাকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলো। তার আগে আমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি। ও সায়ন্তনীর বিরুদ্ধে হয়ত পুলিশ কেস করবে। কিন্তু সায়ন্তনী নির্দোষ। সায়ন্তনীকে আমি আমার জীবনে এনে ছিলাম। সায়ন্তনীর যেন কিছু না হয়।আমি এটাই বলতে চাই ,সঙ্গীতার জন্য আমার এই অবস্থা’। এরপর অমিত তার বাবা অমল দাসকে উদ্যেশ্য করে বলে,’বাবা তুমি আমাকে ক্ষমা কোরো। আমি তোমাকে একা রেখে যেতে চাইনি কিন্তু আমার কিছু করার নেই এরা আমাকে বাঁচতে দিলো না বাবা

।আর এই ভিডিওটা সায়ন্তনীর জন্য যাতে ওকে কেউ কিছু না বলতে পারে’। এই ভিডিও দেখার পর খোঁজাখুঁজি শুরু হয় যুবকের। বালি থানায় যায় তার পরিবার। বালি ব্রীজ বা দক্ষিণেশ্বরে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন শ্রীরামপুর থানায় নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। বুধবার খড়দা থানা এলাকায় গঙ্গা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অমিতের মামা শিশির মিত্র জানান, ভাগ্না ভিডিওগ্রাফির কাজ করে। নাবলক বয়সে সঙ্গীতা নামে একটি মেয়ের সঙ্গে তার ভালোবাসা ছিলো। বছর ছয়েক আগে সেই মেয়েটিকে নিয়ে চলে গিয়েছিলো অমিত। পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে রিষড়ার একটি মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরী হয় তা নিয়ে কোনো অশান্তি হয়ে থাকতে পারে। ভিডিও দেখে যেটা বোঝা যাচ্ছে। ভাগ্না সাঁতার জানত না। তাকে এমন কিছু করা হয়েছে যে এই চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। ব্যারাকপুর মর্গে মৃতদেহ ময়না তদন্ত হয়। এখনো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি যুবকের পরিবার।