হাওড়া , ২২ সেপ্টেম্বর:- পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারায় যাবজ্জীবন সাজা হল মৃতার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির। মঙ্গলবার হাওড়া আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জীব দে দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। সরকারী আইনজীবী ব্রজেন্দ্রনাথ শাসমল জানান, ২০১৩ সালে জুটমিলের কর্মী রাজের সঙ্গে বিয়ে হয় রুম্পার। বেলুড়ের রাজেন শেঠ লেনের বাসিন্দা রুম্পার মা বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী পরিচারিকার কাজ করতেন। অভিযোগ, বিয়ের সময় নগদ ৩০ হাজার টাকা সহ সোনার গয়না নিয়েছিল রাজের পরিবার। এরপরও আরও পণের দাবি করা হয়েছিল। তাদের দাবি পূরণ করতে না পারায় প্রতিদিনই ওই গৃহবধূর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হত।
২০১৪ সালের ৯ মে বেলুড়ের বি.কে পাল টেম্পল রোডে শ্বশুর বাড়ির খাটের তলা থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় গৃহবধূ রুম্পা নিয়োগীকে। প্রথমে তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে শুয়ে রুম্পা তাঁর মা বিষ্ণুপ্রিয়া দাসকে জানিয়ে ছিলেন পণ না পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। পরের দিনই মৃত্যু হয় রুম্পার। ওইদিনই তাঁর মা বেলুড় থানায় রুম্পার স্বামী রাজ নিয়োগী, শ্বশুর চঞ্চল নিয়োগী ও শাশুড়ি মিঠু নিয়োগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সেইদিনই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলে থেকেই তাদের মামলা চলে। শনিবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিন সাজা ঘোষণা হয়।